কম্পাউণ্ডার ঘা ধুতে দু’টাকা ফি চার্জ্জ করতো। পান্নাকে আর কি বলবো, আমি যা করবো তাই হবে। কিন্তু এদের সামনে জানানো উচিত নয় সেটা। আমাকে ওরা দলের রসুইয়ে বামুন বলে জানে, তাই ভালো।
একজন বললে—তা হোলে আপনি চট করে জিজ্ঞ্যেস করে আসুন।
আমি বাইরে আসতেই একজন লোক বললে—একটা কথা আছে আপনার সঙ্গে। আপনাদের কর্ত্রীকে যদি আমরা দু’ তিন জনে আমাদের বাগান বাড়িতে নিমন্ত্রণ করি, উনি যাবেন?
—বাগান বাড়ি আছে নাকি আবার এখানে?
—এখানে নয়। এখান থেকে নৌকা করে যেতে হয় এক ভাঁটির পথ—খোড়গাছির সাঁতরা বাবুদের কাছারি বাড়ি। সেখানকার নায়েব মূরলীধর পাকড়াশী কাল আসরে ছিলেন। তিনি বলে পাঠিয়েছেন। উনি কি নেন?
—তা আমাকে এ কথা বলচেন কেন? আমি তো রসুইয়ে বামুন। উনি কি নেবেন না নেবেন সে কথা ওঁকে জিজ্ঞ্যেস করলেই ভাল হয়।
আপনি যা বললেন ঠিকই, তবে কি জানেন আমাদের সাহস হয় না। কলকাতার মেয়েছেলে, আমরা হচ্ছি পাড়াগাঁয়ের লোক, কথা বলতেই সাহসে কুলোয় না। আপনি যদি করে দিতে পারেন, পাঁচ টাকা পাবেন। নায়েবাবু বলে দিয়েচেন।
—আপনি এখানে অপেক্ষা করুন, আমি এসে বলচি।
পান্নাকে গিয়ে সব কথা খুলে বললাম। পান্না হেসেই খুন।