—চল্লিশ টাকার কমে কর্ত্রী রাজী হবেন না।
—তাই দেবো তবে আপনার টাকা পাবেন না। ত্রিশ টাকায় রাজি করালে আপনাকে কিছু দিলেও গায়ে লাগতো না আমাদের।
—না দেন, না দেবেন। আমি চেষ্টা করে করিয়ে তো দিলাম।
কে একজন ওদের মধ্যে বললে—দাও, ঠাকুর মশাইকে কিছু দিয়ে দাও হে—বেচারি আমাদের জন্মে খেটেচে তো—
ওরা আমাকে একটা আধুলি দিলে। পান্নাকে এনে দেখিয়ে বললাম—আমার রোজগার। তোমার জন্য পেলাম।
পান্না খুসি হয়ে বললে—আমি আরও তোমার রোজগারের পথ করিয়ে দেবো দেখো—
হায় পান্না! এত সরলা বলেই তোমায় আমি ছাড়তে পারি নে!
বললাম—সত্যি?
—নিশ্চয়ই। কিন্তু হ্যাঁগো একটা কথা বলি—তুমি নিজে রোজগারের কথা ভাবো কেন? ও কথা তোলো কেন? তুমি বার বার ওই কথা আজ ক’দিন ধরে বলচো কেন? তুমি কি আমাকে ছেড়ে যেতে চাও?
ওর গলার সুরে আবেগ ও উৎকণ্ঠার সুস্পষ্ট প্রকাশ আমাকে অবাক করে দিলে। পান্না শুধু সুন্দরী নারী নয়, অদ্ভুত ধরণের রহস্যময়ী, দয়াময়ী, প্রেমময়ী। নারীর মধ্যে এমন আমি ক’টিই বা দেখেচি। আমি হেসে চুপ করে রইলাম।