সঙ্গে ওর মায়ের কাছে ফিরে যেত রাজি হয়, তবে আমাকে ওরা রেহাই দেবে। ওরা আমাকেই কথাটা বলতে বললে পান্নাকে।
পান্না কাঠ হয়ে দাঁড়িয়েই আছে।
আমি গিয়ে বললাম—পান্না শুনচো সব? কি করবে বলো ফিরে যাও লক্ষ্মীটি—
পান্না আমার দিকে একদৃষ্টে চেয়ে রইলো। কথা বললে না।
আবার বললাম—পুলিশের লোক বেশি সময় দিতে চাইচে না। জবাব দাও। আমার কথা শোনো বাড়ি যাও—
—কেন যাবো?
— নইলে ওরা ছাড়বে না। তুমি নাবালিকা। আমার সঙ্গে নিজের ইচ্ছেয় আসতে পারো না ওরা বলছে।
—তাহ’লে ওরা তোমাকে কিছু বলবে না?
—আমায় বলুক, তার জন্যে আমার মাথাব্যথা নেই। তোমাকে হয়রানি না করে।
—আমি যাবো, ওদের বলো।
পান্নার মুখ থেকে একথা যেমন বেরুলো, আমি যেন বিস্ময়ে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম, সত্যি বলচি। এ আমি কখনো আশা করিনি। কেন ও যেতে চাইলো এত সহজে? আমি কখনো ভাবিনি ও একথা বলবে।
আমার গলা থেকে কি যেন একটা নেমে বুক পর্য্যন্ত খালি