টাকাই না দিতে পারি এই দুটো কথা জানবার জন্যে। আমি নিঃস্ব, টাকা আমার নেই, থাকলে সব দিয়ে দিতুম।
এতদিনে হয়তো পান্নার অনুতাপ হয়েছে। সে নিশ্চয়ই এতদিনে আমারই মত ভাবচে। জামার কথা রোজ রাত্রে সে ভাবে! হয়তো তার চোখের জল পড়ে। কি ভাবচে সে আমার সম্বন্ধে?
এই খবর পাবার জন্যে মরে যাচ্চি। কে দেবে এ সংবাদ?
একদিন বসে বসে ভাবলুম। কি আশ্চর্য্য আমার এই মনের তীব্র, তীক্ষ্ণ, উগ্র, অতি ব্যগ্র মনোভাব! আমার মধ্যে ছিল তা কখনো আমি জানতে পারিনি। এ মন কোথায় এতদিন ঘুমিয়ে ছিল আমারই মধ্যে, সুরবালা এ ঘুম ভাঙাতে পারেনি—ভাঙিয়েচে পান্নার সোনার কাঠি।
এ মন আামাকে একদণ্ড সুস্থির থাকতে দেয় না। সর্ব্বদা পান্নার কথা ভাবায়। সব সময়, প্রতিটি মুহূর্ত্তে। যে যাকে ভালবাসে, সে তার কথা ছাড়া ভাবতে পারে না। ভাববার সামর্থ্য তার থাকে না। আগে বুঝতাম না এ সব কথা। এ অদ্ভুত অভিজ্ঞতা, মন নিয়ে এ কারবার তখন আমার ছিল না। দিন রাত, চন্দ্র সূর্য্য, সকাল বিকেল, ইহকাল-পরকাল ভাল মন্দ—সব নিয়ে সেই এক বিন্দুতে মিশচে—পান্না। যাঁরা ঈশ্বরের ভক্ত, তাঁদের নাকি এমন দশা হয় শুনেচি। ঈশ্বরের বিষয় ছাড়া ভাবতে পারেন না, ঈশ্বরের কথা ছাড়া কইতে পারেন না। ঈশ্বরের বিরহে তাঁরা নাকি বাহ্যজ্ঞানহীন হ’য়ে