—খুব পারি, যার চরিত্র নেই সে আবার মানুষ?
—আমার একটা কথা রাখবে লক্ষ্মীটি?
—কি?
থাকগে তোমার ডাক্তারি। চলো এ গাঁ থেকে আমরা দিনকতক অন্য জায়গায় চলে যাই।
—কেন বল তো?
—কেন জানিনে। তোমার মোড়লগিরি দিনকতক বন্ধ রাখো! লোকের শাপমন্যি কুড়িয়ে কি লাভ? রামপ্রসাদকে দারোগা গাঁ ছেড়ে যেতে বলেছে—এটা কি ভালো?
—ওই এক কথা পঞ্চাশ বার আমার ভাল লাগে না। যে দুশ্চরিত্র, তাকে কখনো এ গাঁয়ে আমি শান্তিতে থাকতে দেবো না।
—আমার কথা শোনো লক্ষ্মীটি, তোমার ভালো হবে।
কিন্তু ওসব কথায় কান দিতে গেলে পুরুষ মানুষের চলে না। মনে মনে শান্তির ওপর খুব রাগ হোল। আমার বাড়ীতে আসবার কোনো অধিকার নেই তার। এবার ঢুকলে তাকে অপমান হতে হবে।
সনাতনদা বিকলের দিকে আমার এখানে চা খেতে এসে হেসে গড়িয়ে পড়ে আর কি। বলে—আরে, তুমি যা করলে বাবাঃ—পেটে খিল ধরে যাচ্ছে হেসে—
—কি, হয়েছে কি সনাতনদা?
সনাতনদা দম নিয়ে বললে—ওঃ! রও, একটু সামলে নিই—