মধ্যে বুধবার আর শনিবার আসি। সনতনদা কোনো কোনো দিন আসে আমার সঙ্গে, কোনো দিন একাই আমি!
ডাক্তারখানা মঙ্গলগঞ্জের ক্ষুদ্র বাজারটির ঠিক মাঝখানে। আমাদের গ্রাম থেকে প্রায় সাত মাইল দূরে। এখানকার লোকের পীড়া-পীড়িতেই এখানে ক্লিনিক খুলেছি, নয়তো রোগীর ভিড় কোনোদিনই কম পড়েনি আমার গ্রামে। এখানেও লেখা আছে—সমাগত দরিদ্র রোগীগণকে বিনাদর্শনীতে চিকিৎসা করা হয়।
ডাক্তারখানায় পৌঁছুবার আগেই সমবেত রোগীদের কলরব আমার কানে গেল।
কম্পাউণ্ডার রামলাল ঘোষ দূর থেকে আমায় আসতে দেখে প্রফুল্লমুখে আবার ডিসপেন্সারি ঘরের মধ্যে ঢুকলো। আমার মন মেজাজ খারাপ হয়ে গেল অত ভিড় দেখে। ভেবেছিলাম, কাজ সেরে সকাল সকাল সরে পড়ব এবং সন্ধ্যার আগে বাড়ী পৌঁছে চা খেয়ে সনতনদার সঙ্গে বসে এক বাজি পাশা খেলবো, তা আজ হোল না দেখচি।
—কত লোক?
—প্রায় পঁয়ত্রিশজন ডাক্তারবাবু।
—গরুর গাড়ী?
—দু’খানা।
—মেয়ে রোগী?
—সাতজন।
—খাতা নিয়ে এসো, তাড়াতাড়ি করো—