আমার নিজেরও এখন তাড়াতাড়ি স্নানাহার করবার ইচ্ছে নেই। সনাতনের সঙ্গে বাইরের ঘরে বসে একটু আড্ডা দেওয়া যাক। ডিসপেনসারির চাকর বুধো গোয়ালা চাবি নিয়ে সঙ্গে এসেছিল, তাকে বললাম, তোর মাকে বল গিয়ে দু’ পেয়ালা চা করে দিতে।
সনাতন চক্কোত্তি গ্রামের গেজেট। সে কেন এখানে এসেছে এত বেলায় ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।
চা খেতে খেতে সনাতন বললে—আবদুল ডাক্তারের পসার—বুঝলে ভায়া—
হাসি হাসি মুখে সে আমার দিকে চেয়ে রইল।
আমি বললাম—ব্যাপার কি?
—আর কি ব্যাপার—একেবারে মাটি!
—কে বললে তোমাকে?
—আমি বলছি। আমি জানি যে—
—কেন, সে তো ভাল ডাক্তার—
—রামোঃ, তোমার কাছে? বলে সেই ‘চাঁদে আর কিসে’! হোমিওপ্যাথির জল কে খাবে তোমার ওষুধ ছেড়ে। বলে ডাকলে কথা কয়। রামু তাঁতীর বউটার কি ছিল? হিম হয়ে গিয়েছিল তো। তুমি গা ফুঁড়ে না ওষুধ দিলে এতদিনে দোগেছের শ্মশান-সই হোতে হোত।
নিজের প্রশংসা শুনতে খারাপ লাগে না, তা যেই করুক তবুও আমি অন্য একজন ডাক্তারের নিন্দাবাদ আমার সামনে হোতে দিতে পারি না। আমাদের ব্যবসার কতকগুলো নীতি