দিলাম না, তুমি শহরে গিয়ে বসলে গাঁয়ের দিকে আর দেখবে না, এ বাড়ী ঘর কত যত্নে করা—সব নষ্ট হবে। অশথ গাছ গজাবে ছাদের কার্নিসে, আম কাঁটালের বাগান বারোভূতে খাবে। পৈত্রিক ভিটেয় পিদিম দেবার লোক থাকবে না। গাঁয়ের লোকও ভালো ডাক্তার চেয়েও পাবে না। এদের উপকার কর।
বাবার ইচ্ছার কোনো প্রতিবাদ করিনি। আমার অর্থের কোনো লালসা ছিল না। স্বচ্ছল গৃহস্থ ঘরের ছেলে, খাওয়া পরার কষ্ট কখনো পাইনি। গ্রামে থেকে গ্রামের লোকের উন্নতি করবো—এ ইচ্ছাটা আমার চিরকাল আছে—ছাত্রজীবন থেকেই।
গ্রামের লোকের ভালো করবো এই দাঁড়ালো বাতিক। এর জন্যে যে কত খেটেছি, কত মিটিং করে লোককে বুঝিয়েছি, পল্লীমঙ্গল সমিতি স্থাপন করেছি। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে গ্রামের জঙ্গল পরিষ্কার করিয়েছি। গাঁয়ে গাঁয়ে গিয়ে জন-স্বাস্থ্য সম্বন্ধে বক্তৃতা দিয়েছি।
ঠিক সেই সময় একটি ঘটনা ঘটলো।
হরিদাস ঘোষের স্ত্রীর নামে নানা রকম অপবাদ শোনা গেল। বাইশ-তেইশ বছরের যুবতী, স্বামী কলকাতায় ঘিয়ের দোকান করে, মাসে দু-একবার বাড়ী আসে কি-না সন্দেহ। পাশের বাড়ীর নিবারণ ঘোষের ভাইপোকে নাকি লোকে দেখেচে অনেক রাত্রে হরিদাসের ঘর থেকে বেরুতে। আমার কাছে রিপোর্ট এল। দুর্নীতির ওপর আমি চিরদিন হাড়ে চটা, মেয়েটিকে