কিছু না বলে নিবারণ ঘোষের ভাইপোকে একদিন উত্তম মধ্যম দেওয়া গেল। হরিদাস ঘোষকেও পত্র লেখা গেল। তারপর কিসে থেকে কি ঘটলো জানি নে, একদিন হরিদাসের স্ত্রীকে রান্নাঘরে ঘরের আড়া থেকে দোদুল্যমান অবস্থায় দেখা গেল। গোয়ালের গরুর দড়ি দিয়ে একাজ নিষ্পন্ন হয়েচে। তাই নিয়ে হৈ চৈ হোল, আমি মাঝে থেকে পুলিশের হাঙ্গামা মিটিয়ে দিলাম।
লোকের ভালো করতে গিয়ে অপবাদ কুড়তেও আমি পেছপাও নই। দুর্নীতিকে কোনো রকমে প্রশ্রয় দেবো না এ হোল আমার প্রতিজ্ঞা। এতে যা হয় হবে। বড় মুখুজ্যে মশায় গ্রামের সম্ভ্রান্ত ও প্রবীণ লোক। কোন মামলা মোকদ্দমা বাধলে মামলা মিটিয়ে দেবার জন্যে উভয় পক্ষ তাঁকে গিয়ে ধরতো। দু পক্ষ থেকে প্রচুর ঘুষ খেয়ে একটা যা হয় খাড়া করতেন। আমি ব্যবস্থা করলাম, পল্লীমঙ্গল সমিতির পক্ষ থেকে গ্রামের ঝগড়া বিবাদের সুনীমাংসা করে দেওয়া হবে, এজন্যে কাউকে কিছু দিতে হবে না। দু-একটা বিবাদ এভাবে মিটিয়েও দেওয়া গেল। মুখুজ্যে জ্যাঠামশায় আমার ওপর বেজায় বিরক্ত হয়ে উঠেচেন শুনতে পেলাম। একদিন আমায় ডেকে বললে—শশাঙ্ক, তোমার সঙ্গে একটা কথা আছে।
—আজ্ঞে বলুন জ্যাঠামশায়?
—তুমি এসব কি করচো গাঁয়ে?
—কি করচি বলচেন?
—চিরকাল মুখুজ্যেদের চণ্ডীমণ্ডপে সব ব্যাপারের মুড়ো