মরেচে। তোমায় কাল দেখলাম ন্যাংটো হয়ে বেলতলা খেলে বেড়াতে, তুমি এ সবের কি বোঝো যে মামলার মীমাংসা করেন? আর যদিই বা করলে তো নমস্কারী বলে কিছু আদায় করো। একদিন লুচি পাঁটা দিক ব্যাটারা। শুধু হাতে ও কাজে গেলে মান থাকে না বাপু। ওটা গ্রামের মোড়ল-মাতব্বরের হক পাওনা। দুটাকা জরিমানা করলে, একটাকা বারোয়ারি ফণ্ডে দিলে, একটাকা নিলে নিজের নজর। এই তো হোল বনেদি চাল। তবে লোকে ভয় করবে, নইলে যত ব্যাটা ছোটলোক মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে যে।
—আপনাদের কাল চলে গিয়েচে জ্যাঠামশায়। এখন আর ওসব করতে গেলে—
মুখুজ্যে জ্যাঠামশায়ের গলার শির ফুলে উঠলো উত্তেজনায়। চোখ বড় বড় হোল রাগে। হাত নেড়ে বললেন—কে বলেছে, চলে গিয়েচে? কাল এতটুকু চলে যায় নি। তোমরা যেতে দিচ্চ। কলেজে পড়া চোখে চশমা ছোকরা তোমরা, সমাজ কি করে শাসনে রাখতে হয় কি বুঝবে? সমাজ শাসন করবে, প্রজা শাসন করবে জুতিয়ে। তুমি থেকো না এর মধ্যে, শুধু বসে বসে দ্যাখো, আমার চণ্ডীমণ্ডপে বসে জুতিয়ে শাসন করতে পারি কি না।
আমি হেসে বললাম—সে জানি, আপনি তা পারেন জ্যাঠামশায়। কিন্তু আজকাল আর ওসব চলবে না।
মুখুজ্যে জ্যাঠা ঘাড় নেড়ে নেড়ে বললেন—আমার হাতে ছেড়ে দিয়ে বসে বসে শুধু দ্যাখো বাবাজি—