পাতা:অথৈজল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অথৈ জল
৪৮

 আমি জিভ কেটে হাত জোড় করে বিনীতভাবে বলি—ও কি কথা জ্যাঠামশায়? আমি আপনার ছেলের বয়সী, আমাকে ও কি কথা!

 —বেশ, চলো আমার সঙ্গে। পুকুরে নাইবে, সাবান দিচ্চি। তোমাকে না খাইয়ে আমি জলস্পর্শ করবো না। চলো—

 সনাতনদা সেই রাত্রেই আমার বৈঠকখানায় এল। বললে—খুব ভায়া, খুব! দেখালে বটে একখানা!

 —কি রকম?

 —আজ তো উলটে গিয়েছিল সব! তুমি এসে না সামলালে—খুব বাঁচান বাঁচিয়েচ।

 আমার কেমন সন্দেহ হোল, আমি ওর মুখের দিক চেয়ে বললাম—তোমার কাজ, সনাতনদা!

 —কে বললে?

 — তুমি ওদের উসকে দিয়েচ? ঈশান চক্কত্তিকে তুমি খাড়া করেছিল?

 —হ্যাঁ আমি না হুতো—

 —ঠিক তুমি। আমি নাড়ী টিপে খাই তা তুমি জানো? বলো, হ্যাঁ কি না?

 সনাতনদা মুখ টিপে হাসতে লাগলো। বললে—তা তোমার অপমান তুমি তো গায়ে মাখলে না—আমাদের একটা কিছু বিহিত করতে হয়? তবে হ্যাঁ—দেখালে বটে। তুমি অন্য ডালের আম, আমাদের মত নও। যারা যারা জানে, সবাই