বললাম—নেপাল, একটু চা খাওয়ার বন্দোবস্ত করতে পারো?
নেপাল তটস্থ হয়ে পড়লো।—হ্যাঁ, হ্যাঁ, এখুনি করে নিয়ে আসছি দোকান থেকে।
আমি বললাম—খেমটা আরম্ভ হতে কত দেরি?
—সন্দের পর হবে ডাক্তারবাবু। কিন্তু খাওয়ার ব্যবস্থা করবো?
—না, না, শুধু চা করো। আমার এখানেই হবে, স্টোভ আছে, সব আছে, কেবল দুধ নেই।
—দুধ আমি বাড়ী থেকে আনছি। খাওয়ার ব্যবস্থা না করলে কষ্ট হবে আপনার। কখন খেমটা শেষ হবে, তখন বাড়ী যাবেন—সে অনেক দেরি হয়ে যাবে। খাবেন কখন? সে হয় না।
এখানকার বাজারের মধ্যে ভূষণ দাঁ ও নেপাল প্রমাণিক—এরা সব মাতব্বর লোক। ওরাই চাঁদা ওঠায়, বারোয়ারির আয়োজন করে বছর বছর। পাঁচজনে শোনেও ওদের কথা। আমি যখন এখানে ডাক্তারখানা খুলেছি, সকলকেই সন্তুষ্ট রাখতে হবে আমার। সুতরাং বললাম—তবে তুমি কি করতে চাও?
খানকতক পরোটা ভাজিয়ে আনি আর একটু আলুর তরকারি।
তার চেয়ে ডাক্তারখানার স্টোভে দুটি ভাত চড়িয়ে দিক আমার কম্পাউণ্ডার।