মেম্বার, পুলিশ কি শুধু রামহরি সরকারের বাড়ীতেই আসে, তার ওখানেও আসে। সুতরাং সে বললে—ও তো আমার বাড়ী দুবেলা ঘটছে। সে দিন বড়বাবু আর মেজবাবু একসঙ্গে এ্যালেন আশুডাঙা খুনী কেসের এনকোয়ারী সেরে। দুপুর বেলা ভাত খেয়ে চক্ষু একটু বুজেছি, দুই ঘোড়া এসে হাজির। তখুনি খাসি মারা হোল একটা, সরু চালের ভাত আর খাসির মাংস হোল।
রামহরি বললে—রাঁধলে কে?
—ওই দোবেজি বলে এক কনেস্টবল আছে না? সে-ই রাঁধলে।
—মাংস রাখলে দোবেজি?
—না, মাংস রাঁধলেন বড়বাবু নিজে। ভাল রসুই করেন।
গোবিন্দ দাঁর ভাল লাগছিল না এ সব কথা, সে যে বড় তা দেখানোর ফুরসত সে পাচ্চে না। এরা তো সব পাড়াগাঁয়ে প্রেসিডেণ্ট। এরা পুলিশকে খাতির করলেও সে থোড়াই কেয়ার করে। খাস কলকাতা শহরে ব্যবসা তার, সেখানে শুধু ওরা জানে লাট সায়েবকে আর পুলিশ কমিশনারকে।
গোবিন্দ বললে—পুলিশের হ্যাপা আমাদেরও পোয়াতে হয়। সেবার হলো কি, আমরা হ্যাবাক জিংকের পিপে কতগুলো রেখেচি দালানে, তাই সার্চ করতে পুলিশ এল।
আমি বললাম—কিসের পিপে?
—হ্যাবাক জিংকের পিপে। ব্যাপারটা কি জানেন, বিলিতি হ্যাবাক জিংকের হন্দর সাড়ে উনিশ টাকা, আর সেই জায়গায়