পাতা:অথৈজল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাৰু জ্বলে ছিল একটু আগে । সে এ বক্রোক্তি হজম করবার পাত্র নয় । বললোঁ-তা আমরা পাড়াগায়ের মানুষ, আমাদের কাছে ওঁরাই আসল বড়বাবু, মেজবাবু। এখানে তো আপনার কলকাতার বাবুরা আসলেন না মুশকিলের আসান করতে ? এখানে মুশকিলের আসান করবে পুলিশই। প্রহ্লাদ সাধুখ কুঁদিপুর ইউনিয়ন বোর্ডের অধীনে বাস করে, সুতরাং ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ চৌধুরীকে তুষ্ট রাখায় তার স্বার্থ আছ। সে আবদুল হামিদকে সমর্থন করে বললে-ঠিক বলেচেন মৌলবী সাহেব, ঠিক বলেচেন । কলকাতার বাবুদের কি সম্পর্ক ? Ᏹ8 গোবিন্দ দা বললে-সে কথা হচ্চে না । আসল বড়লোকের কথা হচ্চে। তোমার এখানে যদি চুনোপুটি মাছের টাকা টাকা সের হয়, তবে কি পুটি মাছের কদর রুই মাছের সমান হবে ? পাড়াগাঁয়ে সব সমান, বলে, বনগাঁয়ে শেয়াল রাজা। ডাক্তারবাবু” কি বলেন ? ཅ་. এই সময় আমার চোখে পড়লো আসরের দিকে, দুটি সুসজ্জিতা খেমটাওয়ালী লঘু পদবিক্ষেপে আসরে ঢুকলে। একটির বয়স পচিশ-ছাবিবশের কম নয়, বরং বেশি। সমস্ত গায়ে গহনা, গিল্টির কি সোনার, বোঝাবার উপায় নেই। গায়ের রংয়ের জলুস অনেকটা কমে এসেচে। ওর পেছনে যে মেয়েটি ঢুকলো তার বয়েস কম, ষোল কি সতেরো কিংবা অতও নয়, শ্যামাঙ্গী, চােখ দুটিতে বুদ্ধি ও ছঃমির দীপ্তি অত্যন্ত আঁটিস্যুট বঁধুনি, সায়া অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কোথাও ভিলেচাল নেই,