আবদুল হামিদ কি গোবিন্দ দাঁ কিংবা প্রহ্লাদ সাধুখাঁ কিছু মনে করে। কিন্তু কি ওরা মনে করবে, কেন মনে করবে, এসব ভেবেও দেখলাম না।
আবদুল হামিদ আমায় একটা সিগারেট দিলে, অন্যমনস্ক ভাবে সেটা ধরিয়ে আবার নাচের দিকে মন দিলাম। অনেক
আমার মন যেন কেমন চঞ্চল। কিছু ভাল লাগচে না। কোথাও রাত কাটাতে আমার ইচ্ছে নেই। মাঝিকে নিয়ে সেই রাত্রেই নৌকা ছাড়লাম। গভীর রাত্রের সজল বাতাসে একটু ঘুম এল ছইয়ের মধ্যে বিছানায় শুয়ে। সেই অল্প বয়সী মেয়েটি আমার চোখের সামনে সারা রাত নাচতে লাগলো। এক একবার কাছে এগিয়ে আসে, আমি রুমাল বেঁধে প্যালা দিতে যাই, সে তখুনি হেসে দূরে সরে যায়, আবার কিছুক্ষণ পরে কাছে এগিয়ে আসে।
রাত্রে নাচ বন্ধ হোল। গোবিন্দ দাঁ বললে—ডাক্তারবাবু, বাকী রাতটুকু গরীবের বাড়ীতেই শুয়ে থাকুন, রাত তো বেশি নেই, সকালে চা খেয়ে—
মাঝির ডাকে ঘুম ভাঙলো। মাঝি বলচে—উঠুন বাবু, নৌকা ঘাটে এয়েচে!
উঠে দেখি ওপারের বড় শিমূল গাছটার পিছনে সূর্য্য উঠেছে বেলা হয়ে গিয়েছে। দীনু বাড়ুই ঘাটের পাশে জেলে ডিঙিতে বসে মাছ ধরচে, আমায় দেখে বললে—ডাক্তারবাবু রাত্তিরি ডাকে গিয়েছিলেন? কমেক্ষার কী?
পরদিন মঙ্গলগঞ্জে যাবার দিন নয়।