সুরবালা বললে—ওগো আজও পাড়ার অজিত ঠাকুরপোর মেয়েকে দেখতে আসবে। তোমাকে সেখানে থাকতে বলেচে।
আমি বললাম—আজ আমার থাকা হবে না। মঙ্গলগঞ্জে যেতে হবে।
—কেন, আজ আবার সেখানে? শক্ত রুগী আছে বুঝি?
—না। ওদের বারোয়ারি লেগেচে। আমি না থাকলে চলবে না।
মনে মনে কিন্তু বুঝলাম, কথাটা খাঁটি সত্যি নয়। আমার সেখানে না থাকলে খুব চলবে। ওদের আছে প্রেসিডেণ্ট রামহরি সরকার, ক্লাইভ স্ট্রীটের রংয়ের দোকানের মালিক গোবিন্দ দাঁ, কলাধরপুরের প্রহ্লাদ সাধুখাঁ কুঁদিপুরের প্রেসিডেণ্ট আবদুল হামিদ চৌধুরী, আরও অনেকে। আমাকে ওরা যেতেও বলেনি।
এই বোধ হয় জেনে শুনে প্রথম মিথ্যা কথা বললাম সুরবালাকে।
আমায় যেতে হবে কেন তা নিজেও ভাল জানিনে।
মনে ভাবলাম—নাচ জিনিসটা তো খারাপ নয়! ওটা সবাই মিলে খারাপ করেচে। দেখে আসি না, এতে দোষটা আর কি আছে? সকালে সকালে চলে আসবো।
দীনু পাড়ুই আজও জিজ্ঞাসা করলে—বাবু রুগী দেখতে চললেন বুঝি?
এ প্রশ্নে আজ যেন বিরক্ত হয়ে উঠি। যেখানেই যাই না