—হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। কেন যাবো না?
—আমড়াতলা গলির রায় চৌধুরীদের দেখেচেন?
—না!
—মস্ত রাড়ী আমড়াতলা লেনের মুখেই। টাকায় ছাতা পড়ে যাচ্চে, যাকে বলে বড়লোক—
—সেবার আমাকে অন্নপ্রাশনের নেমন্তন্ন করলে। তা ভাবলাম, অত বড়লোক কি দিয়ে মুখ দেখি? একটা সোনার কাজল লতা গড়িয়ে নিলাম রাধাবাজার কুণ্ডু কোম্পানীর দোকান থেকে—আর খাওয়ানো কি! এ সব পাড়াগাঁয়ে শুধু কচুঘেঁচু খেয়ে মরে। দেখে আসুক গিয়ে কলকাতায় বড়লোকের বাড়ি—
—ঠিক তো।
আবদুল হামিদ এতক্ষণ নিজের কথা বলতে পায় নি। এবার সে ফাঁক বুঝে বললে—তা ঠিক, দাঁ মশায় যা বলেচেন। সেবার আমার ইউনিয়নের সাতটা টিউবওয়েল বসাবো। বড়বাবু নিজে থেকে টিউবওয়েলের স্যাঙ্কসন করিয়ে দিলেন। গ্যালাম নিজে কলকেতায়। বলি, নিজে নিয়ে এলে দুপয়সা সস্তা হবে। নিজের ইউনিয়নের কাজ নিজের বাড়ির মত দেখতে হবে। নইলে এত ভোট এবার আমাদের দেবে কেন? সবাই বলে, চৌধুরী সায়েব আমাদের বাপ-মা। তারপর হোল কি—
রামহরি সরকার বড় অসহিষ্ণুভাবে বললে—ভোটের কথা যদি ওঠালেন, চৌধুরী সাহেব এবার দু নম্বর ইউনিয়ন থেকে