আমার ভোট যা হয়েচে—ফলেয়ার হারান তরফদার দাঁড়িয়েছিল কি-না? ফলেয়ার যত ভোট সব তার—তা ভাবলাম, এবার আর হোল না বুঝি। কিন্তু গাজিপুর, মঙ্গলগঞ্জ, আর নেউলে বিষ্ণুপুর এই ক’খানা গাঁয়ের একজন লোকও ভোট দিয়েছিল হারান তরফদারকে?
গোবিন্দ দাঁ’র ভাল লাগছিল না। কি পাড়াগাঁয়ের ভোটাভুটির কাণ্ড সে এখানে বসে শুনবে? ছোঃ, কলকাতায় কর্পোরেশনের কোনো ধারণাই নেই এদের। সেবার—
গোবিন্দ দা গল্পটা ফেঁদেছিল সবে, এমন সময় সেই অল্প বয়সী নর্ত্তকীটি ঘুরতে ঘুরতে আবার আমাদের কাছে এল। এবার সত্যিই বুঝলাম, সে আমার মুখের দিকে বার বার চাইচে, চাইচে আর চোখ ফিরিয়ে নিচ্চে। সে এক পরম সুশ্রী ভঙ্গি। অথচ আমি প্যালা দিচ্ছি না আর। আবদুল হামিদ এর মধ্যে দুবার টাকা দিয়েচে।
হঠাৎ আমার মনে হ’ল, সেই জন্যেই বা মেয়েটি বার বার আমার কাছে আসচে। আচ্ছা, এবারটা দেখি। এক পয়সা প্যালা দেবো না।
এবার রামহরি সরকার ও গোবিন্দ দাঁ এক সঙ্গে প্যালা দিলে।
আমি জানি এসব পল্লীগ্রামের খেমটা বা ঢপকীর্ত্তনের আসরে, প্যালা দেওয়ার দস্তুর মত প্রতিযোগিতা চলে গ্রাম বিশিষ্ট লোকদের মধ্যে। অমুক এত দিয়েচে, আমিই বা কম কিসে, আমি কেন দেবো না—এই হোল আসল ভাব। কে