পাতা:অথৈজল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওই অপরিচিত বালিকাটি আমার মুখের দিকে চেয়ে আছে, এতে আমার আনন্দের কারণ কি ? কে বলবে । সেই আনন্দে অদ্ভুত মুহুর্ত্তে আমার মনে হোল, আমি সব যেন বিলিয়ে দিতে পারি, যা-কিছু আমার নিজস্ব আছে। সৰ কিছু দিয়ে দিতে পারি। সব কিছু। তুচ্ছ পয়সা, তুচ্ছ টাকাकर्छि । সেই মুহুর্ভে দুটাকা প্যালা হাত বাড়িয়ে দিতে গেলাম, মেয়েটি সাবলীল ভঙ্গীতে আমার সামনে এসে আমার হাত থেকে টাকা দুটি উঠিয়ে নিলে। আমার হাতের আঙুলে ওর আঙল ঠেকে গেল। আমার মনে হােল ও ইচ্ছে করে আঙলে আঙল ঠেকালে। অনায়াসে টাকা দুটি তুলে নিতে পারতো। সন্তৰ্পণে । চোখ বুজে। চুপ করে খানিকক্ষণ বসে রইলাম। হঠাৎ এই খেমটার আসর আমার কাছে অসাধারণ হয়ে উঠলো ! আমার সাধারণ অস্তিৱ যেন লোপ পেয়ে গেল। আমি যুগযুগান্ত ধরে খেমটা নাচ দেখচি এখানে বসে। আমি অমর, বিজর বিশ্বে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই। যুগযুগান্ত ধরে ওই মেয়েটি আমার সামনে এসে অমনি নাচচে । ওর অঙ্গুলির সম্পর্শে আমার অতি সাধারণ একঘেয়ে, বৈচিত্র্যহীন জীবন হুমার আনন্দ আস্বাদ করলে। অতি সাধারণ D LDBuD KKB DDD S DuDD S SDKKCL DDD D DrS সিসব বুঝিয়ে বসবার সাধ্যি নেই আমার। আমি গ্রাম্য ডাক্তার যাদুক, এ গ্রামে ও গ্রামে রুগী দেখে বেড়াই, সনাতনামা’র সঙ্গে