আবদুল হামিদ ওর মুখের কথা লুফে নিয়ে অমনি বললে—আমিও তাই বলতে যাচ্ছি—বড্ড চমৎকার দেখতে। ডাক্তারবাবু কি বলেন।
—কে? হ্যাঁ—মন্দ নয়।
গোবিন্দ দাঁ বললে—মন্দ নয় কেন? বেশ ভালো।
আমি বললাম—তা হবে।
আবদুল হামিদ বললে—ছুঁড়িটার বয়স কত হবে আন্দাজ?
গোবিন্দ দাঁ বললে―তা বেশি নয়। অল্প বয়েস।
—কত?
—পনেরো কিংবা ষোল। দেখলেই বোঝা যায় তো—
আবদুল হামিদ সশব্দে হেসে বলে উঠলো—হ্যাঁ, ওসব যথেষ্টই ঘেঁটেচেন আমাদের দাঁ মশায়। ওঁর কাছে আর আমাদের—
ওদের কথাবার্ত্তা আমার ভাল লাগছিল না। ওদের এখান থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাবার জন্যেই বললাম—চলো চা খাইগে। রাত হয়ে যাচ্চে। আমি এখান থেকে অনেক দূর চলে যেতে চাই ওদের সঙ্গ ছেড়ে। ওরা যে মেয়েটির দিকে বার বার চাইবে, এও আমার অসহ্য—সুতরাং ওদেরও সরিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
নেপাল প্রামাণিক দুধ নিয়ে এল। আমি সকলেক চা পরিবেশন করলাম।
আবদুল হামিদ বললে—একদিন এখানে ফিস্টি করুন ডাক্তারবাবু, আমি একটা খাসি দেবো।