পাতা:অথৈজল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৫
অথৈজল

 আমি বললাম—আমার বয়েস সম্বন্ধে মায়ের একটু ভুল হচ্চে। ছোকরা বড় নই, পঁয়ত্রিশের কোঠায় পা দেবো আশ্বিন মাসে।

 আবার ফিস্ ফিস্ শব্দ। নেপাল তার অনুবাদ করে বললে—বড় বৌ হাসচে, বলচে, ওর ছোট ভাইয়ের চেয়েও কম বয়েস।

 আমি জানতাম নেপালের দুই সংসার। কিন্তু এর বড়বৌটি সত্যই সুন্দরী, এর আগেও দু বার দেখেচি বৌটিকে। বয়েস চল্লিশের ওপরে হোলেও নিঃসন্তানা বলেই হোক বা যে কারণেই হোক, এখনও বেশ আঁটসাট গড়ন, দিব্যি স্বাস্থ্যবতী, গায়ের রং পঁচিশ বছরের যুবতীর মত! বেশ শান্ত

 আমি উত্তর দিলাম—মাকে বলো আর দু খানা পটল ভাজা দিতে—

 বৌটি পটলভাজা পাতে দিলে এনে।

 আমি মুখ তুলে তাকেই উদ্দেশ করে বললাম—আচ্ছা, এ রকম কেন, মা, কর বলো তো? চমৎকার রান্না কিন্তু নুন দাও না কেন? সেবারও তাই, এবারও তাই। সেবার বলে গেলাম তোমায়, তুমি নুন দিও তরকারিতে, ওতে আমার জাত যাবে না। তবুও নুন দাওনি এবার।

 বড়বৌ এবার খুব জোরে ফিস্ ফিস্ করলে এবং খানিকক্ষণ সময় নিয়ে।

 নেপাল হেসে বললে—বড়বৌ বলচে ব্রাহ্মণের পাতে নুন দিয়ে তরকারি রেঁধে দেবো সে ভাগ্যি করিনি। এ জন্মে আর