—না।
—সত্যি বলো। মিথ্যে ভান করেচো কেন অসুখের? ও পাঠিয়েচে—না। তোমায় শিখিয়ে পড়িয়ে পাঠিয়েচে!
মেয়েটি লজ্জায় কেমন যেন ভেঙে পড়ে বললে—তা না।
বলেই মুখ নীচু করে মৃদু মৃদু হাসতে লাগলো। সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে হোলো ও সত্যি কথা বলচে। ওর সঙ্গিনী পাঠায় নি, ছল করে ও নিজেই এসেচে। স্বেচ্ছায় এসেচে। অসুখ বিসুখও নয়—কোনো অসুখ নেই ওর।
হঠাৎ মেয়েটি উঠে দাঁড়িয়ে কেমন এক রকম অদ্ভূত সুরে বললে—আমি চললাম, আপনি বড় খারাপ লোক।
বিস্ময়ের সুরে বললাম—খারাপ? কেন, কি করলাম তোমার?
—আমি বলিনি তো কিছু। আমি যাই, আসর কোন দিকে? বাপরে, কত রাত হয়ে গিয়েচে! আমায় একটু এগিয়ে দিন না।
—তা পারবো না। আসরে অনেক লোক, তোমার সঙ্গে আমায় দেখতে পেলে কে কি বলবে। আমি পথ দেখিয়ে দিচ্চি—তুমি যাও। কোনো ভয় নেই, বাজারের মধ্যে চারিদিকে লোক, ভয় কিসের।
মেয়েটি চলে যেতে উদ্যত হোলে আমার কৌতূহল অদম্য হয়ে উঠলো। আমি খপ্ করে ওর হাত ধরে ওকে সেই চেয়ারখানাতে আবার বসিয়ে দিয়ে বললাম—কেন এসেছিলে,