না বলে যাবার জো নেই পান্না,—না, এই নামই তো? রাগ করলে নাকি ডাকনাম ধরে ডাকলাম বলে?
মেয়েটি হেসে বললে—ডাকুন না যত পারেন।
—তুমি এখানে এসে বসে আছ, তোমার সঙ্গের সে মেয়েটা কি ভাববে?
—ভাবুক সে। আমার তাতে কি?
—তুমি তো দেখচি খুব ছেলেমানুষ—তোমার কথার সুরেই তার প্রমাণ।
পান্না চোখের ভুরু ওপর দিকে দুবার তুলে আবার নামিয়ে চোখ নাচিয়ে কৌতুকের সুরে বললে—হুঁ-উ-উ?
শেষের দিকের জিজ্ঞাসার সুরটা নিরর্থক। কি সুন্দর হাসি ফুটে উঠলো ওর মুখে।
আমার হঠাৎ মনে হোল ওকে আমি বুকে টেনে নিয়ে ওর ফুলের মতো লাবণ্যভরা দেহটা পিষে দিই বলিষ্ঠ বাহুর চাপে! মাথার মধ্যে রক্ত চন্ চন্ করে উঠলো। আমি চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়ি। এ অবস্থা ভাল নয়। ও এখান থেকে চলে যাক্। ছিঃ—
—পান্না, তুমি চলো, এগিয়ে দিয়ে আসি।
—আপনি বড় মজার লোক কিন্তু—আমি কেন এসেছিলাম জিজ্ঞেস করলেন না যে?
—তুমি বললে না তো আবার জিগ্যেস করে কি হবে? তুমি দুষ্পাঠ্য দুষ্টু—পান্না।