পাতা:অথৈজল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

བྱ་ན། ། ་་་་་་་་་་་་་་་ কেবলই মনে পড়ে, তার সেই অদ্ভুত হাসি, সকুণ্ঠ চাউনি।-- লাবণ্যময়ী কথাটা বইয়ে পড়ে এসেছি। এতদিন, ওকে দেখে এতদিন পরে বুঝলাম নারীর লাবণ্য কাকে বলে। কি য়েন: একটা ফেলে যাচ্ছি মঙ্গলগঞ্জের বারোয়ারি তলায়, যা ফেলে । আমি কোথাও গিয়ে শান্তি পাবো না । মনে মনে একটা অদ্ভূত কল্পনা জাগলো। নিজেই অবাক হয়ে গেলাম। এ ধরনের কল্পনার সম্ভাব্যতায় -আমার মনে এ ধরনের কল্পনার সম্ভাব্যতায় । ডাক্তারি ছেড়ে দিয়েছি, সংসার ছেড়ে দিয়েছি, পান্না যদি আমাকে চায়। তবে ওকে নিয়ে চলে গিয়েছি সুদূর পশ্চিমে কোনো এক অজ্ঞাত ছোট শহরে। পান্নার সীমান্তে সিন্দুর, মুখে সেই হাসি • • • • • • আমার সঙ্গে এক নির্জন ছাদে • • • • • • দুজনে মুখোমুখি কেউ কোথাও নেই • • • • • • কেউ আমাকে ডাক্তারবাবু বলে খাতির করবার নেই। এখানে আমার বংশগৌরব আমার সব স্বাধীনতা হরণ করেচে। • • • • • • কিসের বংশগৌরব, কিসের যশমান ? ওকে যদি পাই ? হয়তো তা আকাশ-কুসুম ; ও সাৰ আলেয়ার আলো, হাতের মুঠোয় ধরা দেয় না কোনো দিন। পান্না আমার হৰে, এ কথা ভাবতেই আমার সারা দেহমনে যেন বিদ্যুতের স্রোত বয়ে গেল। পাল্লা খাটি নারী, আমি এতদিন নারী দেখিনি। ওদের চিনতাম না। আজ বুঝলাম ওকে দেখে। পায় আজ আমায় ডাক্তারখানায় কেন এসেছিল । ওষুধ