নিকটে আসিল, বলিল, ‘ফকির মরিয়া পড়িয়া রহিয়াছেন।’ হঠাৎ তাঁহার মৃত্যু-সংবাদে আমি স্তম্ভিত হইলাম। তখনই তাহার সহিত কুটীরের ভিতর গমন করিলাম। দেখিলাম, তাঁহার মস্তকে গুরুতর প্রহারের চিহ্ন রহিয়াছে। বুঝিতে পারিলাম, আমার প্রিয় সুহৃদ সেই ফকিরকে কে হত্যা করিয়াছে। তখন একজন কনষ্টেবলকে থানায় প্রেরণ করিয়া কুটীরের দ্বার রুদ্ধ করতঃ বাটীর ভিতর প্রবেশ করিলাম। এখন আমার পরম সৌভাগ্য যে আপনি আসিয়াছেন।”
গৌরীশঙ্করের কথা শুনিয়া আমিও আশ্চর্য্যান্বিত হইলাম। ভাবিলাম, ফকির সাধু ব্যক্তি, ঈশ্বরাধনা, ঈশ্বরের নাম চর্চ্চা ও শাস্ত্র-কথা ভিন্ন তিনি আর কোন প্রকার সাংসারিক কার্য্যে লিপ্ত থাকিতেন না। এ অবস্থার তাঁহার শত্রু কে? শত্রু না হইলেই বা তাঁহাকে হত্যা করিবে কে?
তৃতীয় পরিচ্ছেদ।
কিছুক্ষণ চিন্তার পর আমি গৌরীশঙ্করকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনি ঐ স্থানে গমন করিয়া ফকিরের কুটীরের ভিতর কোন অস্ত্র দেখিয়াছিলেন কি?”
গৌ। আজ্ঞে না, কোনপ্রকার অস্ত্র দেখি নাই।
আ। তবে মস্তকে কিসের চিহ্ন দেখিয়াছিলেন?