সে জন্য তাহাকে কেহই হত্যা করিবে না। ফকিরের নিজের কোন শত্রু নাই। তাঁহার মৃত্যুতে আমার যথেষ্ট ক্ষতি হইবে। এই দুই মাসের মধ্যে আমি তাঁহারই উপদেশে এত উন্নতি করিয়াছি। আমার দু-একজন শত্রু আছে—তাহারা যে আমায় ক্ষতিগ্রস্ত দেখিয়া বিশেষ আনন্দিত হইবে, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। তাহাদের কেহ যদি এ কার্য্য করিয়া থাকে বলিতে পারি না।
এই বলিয়া গৌরীশঙ্কর আমার মুখের দিকে চাহিলেন। আমি তাঁহার মনোগত অতি প্রায় বুঝিতে পারিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম “আপনার অনুমান সত্য হইতে পারে কিন্তু কে আপনার শত্রু?”
গৌরীশঙ্কর আবার কিছুক্ষণ চিন্তামগ্ন হইলেন। পরে বলিলেন, “আমার পুরাতন ম্যানেজার মহাশয় পূর্ব্বে আমারই বেতনভোগী ভৃত্য ছিলেন, কিন্তু এখন আমার ঘোর শত্রু হইয়া দাড়াইয়াছেন।”
আমি সাগ্রহে জিজ্ঞাসা করিলাম, “কারণ কি?
গৌ। কারণ, আমি তাঁহাকে কর্ম্ম হইতে অপসৃত করিয়াছি। যখন আমার জমীদারী তাঁহার তত্ত্বাবধানে রাখিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হইতে লাগিলাম এবং যখন ফকিরের পরামর্শেই আমার যথেষ্ট উন্নতি হইতে লাগিল, তখন আর আমার তাঁহাকে প্রয়োজন কি? বৃথা কেন তাঁহাকে বেতন দিব।
আ। আপনার যুক্তি মন্দ নয়। আপনার ম্যানেজার মহাশয়ের নাম কি? তাঁহার নিবাস কোথায়?
গৌ। তাঁহার নাম অভয়চর মুখুয্যে, বাসা কলুটোলায়। অনুমতি করেন ত তাঁহাকে এখানে ডাকিয়া পাঠাই। তাঁহাকে একবার ভাল করিয়া পরীক্ষা করিলেই সমস্ত জানিতে পারিবেন। আরও একটা কথা আছে। বোধ হয় তাহাতেও আপনার অনু—