পাতা:অদ্ভুত ফকির - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অদ্ভুত ফকির।
৩৭

সে আমাকে আক্রমণ করিতে উদ্যত হইল, আমি অমনি দুই হস্তে তাহার দুটা হাত এরূপে ধরিয়া ফেলিলাম যে, সে কোনরূপে বাধা দিতে পারিল না। ইত্যবসরে আমার আর দুইজন কনষ্টেবল তৎক্ষণাৎ সেখানে উপস্থিত হইল এবং হরশঙ্করের হস্তে হাতকড়ি পরাইয়া দিল।

নবম পরিচ্ছেদ।

 আবদুল কাদের হঠাৎ গৌরীশঙ্কর ওরফে হরশঙ্করকে বন্দী করিতে দেখিয়া শুন্তিত হইল। জিজ্ঞাসা করিল, “হুজুর! আপনার কথা কিছুই বুঝিতে পারিলাম না। আপনি কেমন করিয়া জানিতে পারিলেন যে, ইনি গৌরীশঙ্কর নহেন—হরশঙ্কর। আর কিরূপেই বা স্থির করিলেন যে, হরশঙ্করই গৌরীশঙ্করকে হত্যা করিয়াছে?

 আবদুলের কথায় আমি অত্যন্ত বিরক্ত হইলাম। বলিলাম, “তোমার মত লোককে পুলিসের কার্য্যে নিযুক্ত করা সম্পূর্ণ অন্যায়। যাহারা ঘুষ লইয়া সত্য গোপন করিতে চেষ্টা করে, তাহাদের মত লোককে যত শীঘ্র পারা যায় এই কার্য্য হইতে বিদায় দেওয়া উচিত। তুমি ইতিপূর্ব্বে আমাকে বারম্বার তোমার বেতন বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করিয়াছিলে; কিন্তু এখন ভাবিয়া দেখ দেখি, তোমার বেতন বৃদ্ধি কি হ্রাস হওয়া উচিত। যাহা হউক, এ ক্ষেত্রে আমি তোমার কোন অপকার করিতে ইচ্ছা করি না।