পাতা:অদ্ভুত ভিখারী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দারােগার দপ্তর, ১৪৪ সংখ্যা।

যদি আপনি আপনার স্বামীকে নিশ্চয়ই দেখিয়া থাকেন ও তিনি তাহার পর যদি বাহিরে না গিয়া থাকেন, তাহা হইলে তিনি নিশ্চয়ই এই বাড়ীর ভিতর আছেন, ও বোধ হয়, গুলিটা আসটা খাইয়া থাকেন। যাহা হউক, আপনার পুত্র আমার সঙ্গে আসুক, যদি তিনি এই বাড়ীর ভিতর থাকেন, তাহা হইলে আমি এখনই তাঁহাকে আপনার সম্মুখে আনিয়া উপস্থিত করিব।” এই বলিয়া সেই পুলিস-কর্ম্মচারী বালককে সঙ্গে লইয়া সেই বাড়ীর ভিতর প্রবেশ করিলেন।

 প্রথমতঃ নিম্নের ঘরগুলি দেখিলেন, তাহাতে নরেন্দ্রবাবুর কোন সন্ধানই পাইলেন না। তাহার পর উপরের ঘরে গমন করিলেন। সেই স্থানে সেই মুসলমান ফকির ভিন্ন আর কাহাকেও দৃষ্টিগোচর হইল না। কিন্তু ঐ ঘরের এক পার্শ্বে একখানি কম্বল দ্বারা আবৃত একটা কাপড়ের গাঁট্‌রি দেখিতে পাইলেন। ঐ গাঁট্‌রিটা খুলিলে দেখিতে পাওয়া গেল, উহার মধ্যে একখানি ধুতি, একখানি চাদর, একটী পিরাণ, এক জোড়া জুতা ও এক জোড়া মোজা আছে। উহা দেখিবামাত্র নরেন্দ্রবাবুর পুত্র ও পরিশেষে নরেন্দ্রবাবুর স্ত্রী কহিলেন, “উহা তাহার স্বামীর। যে সমস্ত বস্ত্রাদি পরিধান করিয়া তিনি বাড়ী হইতে বহির্গত হইয়াছিলেন, উহা তাহাই।”

 পুলিস-কর্মচারী এই অবস্থা দেখিয়া অতিশয় বিস্মিত হইলেন, অথচ মুসলমান ফকিরকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি কোন রূপ সন্তোষজনক উত্তর প্রদান করিতে পারিলেন না, কেবল এইমাত্র বলিলেন, তিনি নরেন্দ্রবাবুক চিনেন না, কোন ব্যক্তি তাহার ঘরে আসে নাই, ও ঐ বস্ত্রাদি তাহার