ডাক্তার। সেই ভিক্ষুক নরেন্দ্রবাবুর হত্যাকারী ভাবিয়া তাহার স্ত্রী অবাক হইয়া পড়িলেন। তখন তাহাকে তথা হইতে স্থানান্তরিত করা হইল এবং সেই ভিক্ষুককে আপাততঃ সন্দেহ করিয়া হাজতে রাখা হইয়াছে।
আমি। আর একটী কথা আমার জিজ্ঞাসা করিবার আছে, নরেন্দ্রবাবুর সকল পোষাকই কি ঐ স্থানে পাওয়া গিয়াছে?
ডাক্তার। না, প্রথমে কেবল চাপকানটী পাওয়া যায় নাই, কিন্তু এখন পাওয়া গিয়াছে। কোথায় জান?
আমি। না, কিরূপে জানিব?
ডাক্তার। ঐ নদীগর্ভে। ঠিক ঐ জানালার নীচে। যখন ভাঁটা পড়ে, তখন সেই চাপকান দেখিতে পাওয়া যায়, উহাতে কি ছিল জান?
আমি। না?
ডাক্তার। পয়সা ও অধলায় পরিপূর্ণ। দুইটী পকেটে প্রায় পাঁচ টাকার পয়সা ও আধলা ছিল। সম্ভবতঃ, যখন নরেবাবুর পুত্র তাহার পিতার অন্বেষণে ঐ আড্ডায় প্রবেশ করে, তখন সেই ভিক্ষুক তাহার ভিক্ষালব্ধ সঞ্চিত পয়সা ও আধলায় তাহার চাপকানের পকেট পূর্ণ করিয়া জানালা দিয়া নদীগর্ভে নিক্ষেপ করে। বোধ হয়, অপর পোষাকগুলির সেই দশা করিত, যদি পুলিস শীঘ্র সেই স্থানে আসিয়া উপস্থিত না হইত।
আমি। খুব সম্ভব।
ডাক্তার। সে যাহা হউক, আপাতত সেই কদাকার হতভাগা ভিক্ষুকের উপরেই সন্দেহ হইয়াছে ও তাহাকে