দেখিলাম। তখন তিনি কহিলেন, “আপনার স্বামীর লেখা আপনি চেনেন?
“হাঁ, আমি তাঁর লেখা চিনি।”
“এ লেখা কি তার?”
“না, ওর ভিতর অপর কাগজে তার হাতের লেখা আছে।”
ডাক্তার। দেখ্ছি, যে খামের উপর নাম লিখেছে, তাহাকে ঠিকানা জানিবার নিমিত্ত অপরের নিকট যাইতে হইয়াছিল, সে নিশ্চয়ই নিজে ঠিকানা জানিত না।
রমণী ব্যগ্রভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেমন করিয়া আপনি উহা জানিতে পারিলেন?”
“কেন? আপনি দেখুন, নামটী সম্পূর্ণ কাল কালীতে লেখা যাহা আপনিই শুকাইয়া গিয়াছে। অর্থাৎ উহাতে ব্লটিং কাগজ ছাপা হয় নাই। আর অবশিষ্ট অংশ এক রকম ফিকে রংয়ের। দেখ্লেই বুঝ্তে পারবেন যে, উহার উপর ব্লটিং কাগজ দিয়া ছাপা হইয়াছে। ইহা দ্বারা স্পষ্টই বোধ হইতেছে যে, লোকটী প্রথমে নাম লিখিয়া, ঠিকানা জানিবার জন্য অন্যত্র গিয়াছিল। নাম আপনিই শুকাইয়া যায়, পরে সে ঠিকানা জানিয়া আসিয়া উহা খামে লিখিয়া ব্লটিং কাগজ দিয়া ছাপিয়াছে।”
“আপনি নিশ্চয় বলিতে পারেন না যে, ইহা আপনার স্বামীর হস্তাক্ষর?”
রমণী। হাঁ, আমি যথার্থ বলিতেছি যে, এখানা আমার স্বামীর লেখা।
ডাক্তার আর কোন কথা না জিজ্ঞাসা করিয়া পত্র পাঠ করিতে আরম্ভ করিলেন। পত্রে লেখা এই:—