পাতা:অদ্ভুত ভিখারী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
দারােগার দপ্তর, ১৪৪ সংখ্যা।

 প্রিয়তম! আমার হঠাৎ অদর্শনে ভীত হইও না। শীঘ্রই সমস্ত গোলযোগ মিটিয়া যাইবে। এক মহা সমস্যা ঘটিয়াছে, সেই জন্য এই ব্যাপার!

তোমারই নরেন।

 পত্র পাঠ করিয়া ডাক্তার আবার জিজ্ঞাসা করিলেন, “মা, আবার জিজ্ঞাসা করিতেছি, আপনি সত্য করিয়া বলুন, উহা আপনার স্বামীর হস্তাক্ষর কি না?”

 রমণী। হাঁ বাবা, আমি মিথ্যা বলিব কেন?

 ডাক্তার। আজই এই পত্র ডাকে ফেলা হইয়াছে। পোষ্ট অফিসের ষ্ট্যাম্পে আজিকার তারিখ স্পষ্টই দেখা যাইতেছে। মা, বিশেষ সন্দেহ হইতেছে। আজ আমার চিন্তা করিতে সময় দিন। বোধ হয় কালই আপনাদিগকে সন্তুষ্ট করিতে পারিব।

 রমণী। আচ্ছা বাবা! একটী কথা জিজ্ঞাসা করি। এখন তোমার কি মত? তিনি জীবিত আছেন ত?

 ডাক্তার। যদি এই পত্র নকল না হয়, তবে তিনি নিশ্চয়ই জীবিত আছেন। তবে একটী কথা—পত্রখানি তিনি মৃত্যুর পূর্ব্বেও লিখিতে পারেন। এইরূপ হইতে পারে যে, হয় ত তিনি মরিবার পূর্ব্বে পত্রখানি লিখিয়া কোন লোককে ডাকে দিবার নিমিত্ত দিয়াছিলেন, লোকটী সে দিন ভুলিয়া গিয়াছিল, আজ দিয়াছে।

 এই কথা শুনিয়া রমণী হতাশ হইয়া বলিলেন, “হাঁ, তাহাও হইতে পারে। কিন্তু তা বলিয়া বাবা, আমায় এমন করিয়া হতাশ করিও না। আমার মন কিন্তু বলিতেছে, যে তাঁহার কিছুই হয় নাই। সে দিন তাঁর ছুরিতে হাত কাটিয়া যায়। আমি সে সময় নিকটে ছিলাম না। রন্ধনশালায় আহার করিতে-