আমি। সেই কদাকার ভিক্ষুককে দেখিতে আসিয়াছি, যে ব্যক্তি নরেন্দ্র বাবুকে খুন করিয়াছে বলিয়া আপনার নিকট হাজতে রহিয়াছে।
কর্ম্ম। হাঁ হাঁ, সে ত এখানেই আছে।
আমি। কোথায়?
কর্ম্ম। একটী ঘরে।
আমি। সে কি শান্ত প্রকৃতির লোক? না কোনরূপ উৎপাত করে?
কর্ম্ম। সে বড় শান্ত। এ পর্য্যন্ত আমাদের কোন কষ্ট দেয় নাই। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, তার মত অপরিষ্কার জীব বোধ হয় পৃথিবীতে আর নাই।
আমি। বলেন কি! সে কি এতই অপরিষ্কার!
কর্ম্ম। হাঁ, আমার ইচ্ছা এই যে, তাহার বিচার হয়ে গেলে একবার তাহাকে আচ্ছা করে স্নান করিয়ে দিতে হবে। আপনি যদি এখন তাহাকে একবার দেখেন, তাহলে আপনিও আমার মতে মত দিবেন।
আমি। আমারও বড় ইচ্ছা যে, এখন একবার তাহাকে দেখি।
কর্ম্ম। সত্য না কি? ইহা অতি সহজ কার্য্য। আমার সহিত আসুন, আমি তাহাকে দেখাইয়া দিতেছি।
কর্ম্মচারীর এই কথা শুনিয়া, আমি আমার যে ব্যাগটী সঙ্গে করিয়া সেই স্থানে গমন করিয়াছিলাম, সেই ব্যাগটী হস্তে লইয়া গাত্রোত্থান করিলাম। উহা দেখিয়া, হাজত-গৃহের সেই কর্ম্মচারী কহিলেন, “ও কি! ও ব্যাগ লইয়া আস্বার দরকার