আসামীর খেদোক্তি শ্রবণ করিয়া আমার বন্ধুর দয়া হইল। তিনি বলিলেন, “যদি এই ব্যাপার আদালতে যায়, তাহা হইলে নিশ্চয়ই এ সকল সংবাদ সকলেরই শ্রুতিগোচর হইবে। কিন্তু যদি এরূপ বলিতে পার যে, তোমার বিরুদ্ধে পুলিসের আর কোন আধিপত্য নাই অর্থাৎ তুমি যদি এরূপ প্রমাণ করিতে পার যে, তুমি আর কোন দোষে দূষিত নহ, তাহা হইলে এসকল সমাচার সংবাদ পত্রে বাহির না হইলেও হইতে পারে। আমি জানি, এই কর্ম্মচারীও অতি ভদ্র, ইনি কখনই অন্যায়রূপে কাহারও প্রতি অত্যাচার করেন না। আজ যদি তুমি তোমার এই ভ্রমের বিষয় বিশেষ করিয়া বুঝাইয়া বলিতে পার, তাহা হইলে হয়ত ইনি তোমায় মুক্তি দিতে পারেন।”
তৃতীয় পরিচ্ছেদ।
নরেন্দ্রকৃষ্ণ কহিলেন, “মহাশয়! ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করিবেন। আমি লজ্জার ভয়ে প্রাণ পর্য্যন্ত বিসর্জ্জন করিতেও প্রস্তুত ছিলাম, আজ যদি নরেন্দ্রবাবুকে খুন করিয়াছি বলিয়া আপনারা আমার ফাঁসির হুকুম দিতেন, তাহা হইলেও আমি কোন বাক্যব্যয় করিতাম না। আমি প্রাণান্তেও পুত্রগণকে আমার প্রকৃত অবস্থার বিষয় জ্ঞাপন করিতে সক্ষম নহি। এখন আমার যাহা ব্যক্তব্য তাহা আপনাদের সকলের সাক্ষাতে বলিতেছি শ্রবণ করুন। আমার এই গুপ্তকথা আর কেহই