মূর্ত্তিতে আমি সকলেরই দয়ার পাত্র হইলাম। প্রায় ছয় সাত ঘণ্টা এইরূপে দণ্ডায়মান থাকিবার পর আমি কার্য্যস্থানে আসিলাম। দেখিলাম যে, সেই একদিনেই আমি প্রায় কুড়ি টাকা উপায় করিয়াছি। তাহার পর আমি প্রবন্ধ লিখিলাম। সেইদিন নিজে ভিক্ষুক সাজিয়া যাহা যাহা করিয়াছি, যে যে বিষয় অবলোকন করিয়াছি, কি কৌশলে সাধারণের দয়ার পাত্র হইয়াছিলাম, এই সমস্ত ব্যাপার প্রবন্ধে লিখিলাম। আমার প্রবন্ধই সকলের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হইল। আমি পুরষ্কার পাইলাম। আর আমার নিজের ভিক্ষাবৃত্তির বিষয় স্মরণপথে আনিবার চেষ্টা করিলাম না।
কিছুদিন এইরূপে অতিবাহিত হইল, পরে একদিন আমার এক বন্ধু আমার নিকট উপস্থিত হইল। পূর্ব্বে আমি তাহার নিকট হইতে প্রায় আড়াই শত টাকা কর্জ্জ লইয়াছিলাম, তখনও পরিশোধ করিতে পারি নাই। বলিতে গেলে, আমার দেনার বিষয় আমার একেবারে মনেই ছিল না। বন্ধুবর আসিয়া আমার নিকট হইতে অর্থ চাহিলেন। আমার হস্তে তখন এক কপর্দ্দক ছিল না। অথচ বন্ধুর বিশেষ প্রয়োজন। কি করি, তাহার নিকট হইতে সাত দিনের সময় লইলাম।
সেইদিন আবার আমার ভিক্ষাবৃত্তির কথা মনে পড়িল। আমি তখনই আমার প্রভুকে বলিয়া কার্য্য হইতে কিছুকাল অবসর গ্রহণ করিলাম। তারপর আবার সেইরূপ ছদ্মবেশ ধারণ করিলাম ও পুনরায় সহরে গিয়া ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করিলাম। আপনারা সহজেই অনুমান করিতে পারিবেন, কেন আমি এরূপ ঘৃণাষ্কর কার্যে লিপ্ত হইলাম। যখন আমি কঠোর পরিশ্রম