পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.পরিশিষ্ট । So A. নহে । প্রত্যেকে আপন আপন জ্ঞান ও বিশ্বাসানুসারে যদি জগদীশ্বরের আরাধনা ও ধর্ম্মকার্য্য করে, তাহা হইলেই প্রচুর লাভ হইবেক । তাদৃশ পূজা ও ধর্ম্মকার্য্য যতই কেন অসম্পূর্ণ হউক না, ভদ্বারা প্রত্যেকের আত্মাই যে উন্নতির সোপানগরূঢ় হুইবেক, তাহার আর সন্দেহ নাই । মানবকে লইয়শই ধর্ম্ম, মানবকে লইয়াই জগত । মানব যদি ধার্ম্মিক হয়, তবে জগতেরও অশেষ কল্যাণ হইবেক ; ধর্ম্ম ও জাগ্রত হইয়া উঠিবেক । ২ । কোন এক সম্প্রদায় ভুক্ত না হইলে, বা কোন এক সম্প্রদায় নির্ম্মাণ না করিলে মানব কি ধার্ম্মিক হইতে পারে না ? খৃষ্টান হইবার অপেক্ষায় কি ধর্মের আচরণ ও ঈশ্বরের পূজা স্থগিত থাকে ? কখনই নহে । ভগবান সকলেরই হৃদয়ের প্রিয় ধন, তাহার পূজায় যাহার যেমন সাধ্য তাহার তেমনি আচরণ । তথাপি লোকের অহঙ্কারকে ধন্য । খৃষ্টান বলেন “ তুমি যত দিন খৃষ্টান না হইবে, তত দিন ভগবানের পূজার উপযুক্ত নহ ।” মুসলমান বলেন, “ তুমি যত দিন মুসলমান না হইবে তত দিন কাফর থাকিবে ।” এখন খৃষ্টানদিগের দেখাদেখি ব্রাহ্মেরাও অনেকে বলিতেছেন, “ তুমি যত দিন ব্রাহ্মদলে না আসিবে, তত দিন পাপের পথে ভ্রমণ করিবে ।" আশ্চর্য্য কিন্তু হিন্দুধর্ম্ম! ইহা কোন খৃষ্টানকে হিন্দু করিতে চাহে না, . কোন মুসলমানকে হিন্দু হইতে বলে না, আপনাবু বক্ষঃস্থিত শতশত সম্প্রদায়ের মধ্যে কাহাকেও আপন শাখা ত্যাগ করিয়া শাখাস্তুরীয় মত অবলম্বন করিতে অনুরোধ করে না,