পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধিকার-স্তত্ব | \} মস্তক, হিন্দুসমাজ আমাদের মূল । মূল হইতে মস্তক যাহাতে ছিন্ন না হয় অর্থাৎ উভয় সমাজ যাহতে পরস্পর স্বাভাৰিক সুধাময় বন্ধনে একীভূত হয় তাহাই এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য । ব্রাহ্মধর্ম্মও হিন্দুধর্ম্ম ছাড়া নহে, হিন্দুধর্ম্মও ব্রাহ্মধর্ম্ম ছাড়া নহে । ব্রাহ্মধর্ম্ম যে প্রকার স্বাভাবিক ভাবে হিন্দুধর্ম্মের মধ্যদিয়া জগতে প্রকাশ পাইয়াছে, অন্য কোন দেশের ধর্ম্মের মধ্যদিয়া তেমন প্রকাশ পায় নাই । সুতরাং হিন্দুধর্ম্মই ব্রাহ্মধর্মের মহা আয়তন ক্ষেত্র । ব্রাহ্মধর্ম্ম পূর্ণ অবয়বে হিন্দুধর্ম্মের মধ্যে থাকায় জগতের মধ্যে যেমন হিন্দুধর্ম্মের শোভা ও ক্ষমতা প্রকাশ পাইয়াছে, এমত অণর কোন ধর্ম্মে দেখা যায় না। 錢 দুঃখের বিষয় এই যে, হিন্দুধর্ম্ম যে কি চমৎকার ধর্ম্ম তাহা অনেক হিন্দুতেও বুঝিতে পারেন নাই, আর ব্রাহ্মধর্ম্ম যে কি স্বৰ্গীয় ধর্ম্ম তাছা অনেক ব্রহ্মে ও জানেন না । রাজা রামমোহন রায় যখন প্রথমতঃ ব্রহ্মোপাসনা প্রচার করেন, তখন তিনিও উপনিষৎকে অবলম্বন করিয়াছিলেন, এবং অপরাপর শাস্ত্রকেও সত্য বলিয়া গ্রহণ করিতে কুষ্ঠিত হন নাই । হিন্দুধর্ম্মের ব্যাখ্যা রামমোহন রায় যেমন করিয়া গিয়াছেন তেমন অণর হইবে না । মানব প্রাথমিক অবস্থাতে ইন্দ্র, অগ্নি, স্থর্য্যাদি ভৌতিক দেবগণের পূজা করিয়াছেন । পশ্চাৎ ঐ সকল দেবগণের প্রতিমা ও ঈশ্বরের ভিন্ন ভিন্ন শক্তির রূপ কণপনা করিয়া পূজা করিতে করিতে অপেক্ষাকৃত উচ্চ সোপানে আরোহণ । করিয়াছেন। তাহাতে জগতের ধর্ম্ম কালে কালে নানা