পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b: অধিকার-তত্ত্ব । দমন করিয়া দিয়াছে ৷ ব্রহ্মজ্ঞান সকল ধর্ম্মের উপরি রাজপদে অভিষিক্ত ; অন্য অন্য ধর্ম্ম যখন পরস্পর বিরোধ করে, ব্রহ্মজ্ঞান ন্যায়দণ্ড দ্বার। তখনি তাহার মীমাংসা করিয়া দেয়। এদেশে যখন খৃষ্টান-ধর্ম্ম আসিয়া ভারতীয় কনিষ্ঠধর্ম্মকে পরাজয় করিবার উপক্রম করিল, তখন হিন্দুদিগের বেদ-শিরোভাগ উপনিষৎ ভেদ করিয়া ব্রহ্মজ্ঞান উদয় হইয়া পড়িল । যদি তাহ না হইত, তবে বর্তমান ব্রাহ্মধর্ম্মের নাম গন্ধও শুনা যাইত না, এবং এই কালের প্রখর যুক্তিপ্রিয় সবলাধিকারীদিগের উপায়ান্তর থাকিত না—সুতরাং উহারা অনেকে এত দিনে খৃষ্টানধর্ম্ম অবলম্বন করিতেন । ঐরুপ অবস্থায় ভারতীয় ব্রহ্মজ্ঞানই ভারতবর্ষকে রক্ষা করিল । বলবান খৃষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিকুলে তিষ্ঠিয় থাকিবার নিমিত্তে ব্রাহ্মসমাজ-রূপ দুর্গ নির্ম্মিত হইল, এবং হিন্দুসমাজের ভাবতীয় বল ভরসা ঐ দুর্গেতে রক্ষিত হইল । কিন্তু হায়! সেই ব্রাহ্মসমাজই এইক্ষণ বিজাতীয় ভাব ধরিয়াছেন । কোথায় ব্রাহ্মসমাজ হিন্দুসমাজকে স্বজাতির মধ্যদিয়া উন্নত করিবেন, কোথায় তাহার। লোককে ক্রমে অনিৰ্দেশ্য ব্রহ্মপূজার অধিকারী করবেন, কোথায় তাহারা পৃথিবীর তাবৎ ধর্ম্ম-তত্ত্বের প্রধান উপনিষৎ ও বেদান্তের সার তাৎপর্য্যানুসারে হিন্দুসমাজ ও হিন্দুধর্ম্মকে সংশোধন করিবেন, না তাহারা খৃষ্টান ধর্ম্মে মোহিত হইয়। আবহমান কালের হিন্দুধর্ম্মকে বিনাশ করিতে বসিয়াছেন ।