পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r- অধিকার-তত্ত্ব ।< 9ל এবং যাগ যজ্ঞ করেন নাই, ব্রাহ্মগণও সেইরূপ হিন্দুশাস্ত্রকে অভ্রান্ত বলিবেন না, পুত্তলিকার পূজাও করিবেন না । পৌত্তলিক যদি শাস্ত্রের মর্ম্মমত বিশেষ শ্রদ্ধার সহিত পুজ। অচ্চ করেন, তবে অবশ্যই ব্রহ্মজ্ঞানের অধিকারী হইবেন । অর্ণবণর ত্রাহ্মের। যদি ব্রহ্মজ্ঞান-উপার্জনে যত্ন না করিয়া বাহ কর্ম্মে উন্মত্ত হন তবে তাহারাও পৌত্তলিকতায় নামিয়া যাইবেন । এইরূপ বিভিন্নত ও পরিবর্তন ঘটিবেই । যখন ধর্ম্মের প্রকৃতিই এই, তখন জাতি পরিত্যাগ, শাস্ত্র পরিত্যাগ, দেশীয়ভাব পরিত্যাগ করিয়া আপনাকে উন্নত দেখার ফল কি ? যদি বর্ত্তমান ব্রাহ্মগণ পৌত্তলিকগণের সহ এইরূপ সামঞ্জস্য-ভাবে অধিকারী বিশেষে জ্ঞান ধর্ম্মের উপদেশ না করেন, তবে তাহারদের দ্বার। এদেশের মঙ্গল সম্ভাবনা নাই । এবং পৌত্তলিকগণও যদি ব্রহ্মজ্ঞানের প্রতি মর্য্যাদাবিহীন হয়েন তবে হিন্দু ধর্ম্মের মুখ্য উদ্দেশ্য যে ক্রমে ব্রহ্ম-উপাসনায় আরোহণ করা তা হা ভ্রষ্ট হইবে । ইহা নিশ্চয় যে বিজাতীয় ভাব ও যিমুখৃষ্টের আদর্শত এদেশে কখনও স্থান প্রাপ্ত হইবেক না । অতএব শাস্তুভাবে, বিনা মত-প্রিয়ভ, বিনা সাম্প্রদায়িক ভাবে, বিনা দ্বেষ ও বিনা আড়ম্বরে, অথচ যাহার যেমন অধিকার তাহাকে তাহারই মধ্যদিয়া ব্রহ্মজ্ঞানে আকর্ষণ করত যে ব্রাহ্মসমাজ কার্য্য করিয়া যাইবেন, ভাবদীয় হিন্দু সমাজ ভাস্থারই পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিবেন । যথার্থ ব্রহ্মজ্ঞান প্রচার