পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(to অধিকার-তত্ত্ব । 4. এই ঈশ্বরদত্ত অধিকার-তত্ত্বের আলোচনা করেন, তবে ওঁহোরা অবশ্যই আমাদের এই প্রস্তাবের মর্ম্ম বুঝিতে পরিবেন । ৫ । যদি ব্রাহ্মের। এইরূপ উপদেশ-কার্ষ্যের ভারগ্রহণ করেন, তবে কালেতে ব্রাহ্ম-সমাজের হস্তেই হিন্দুসমাজের ভীর পতিত হইবেক । তখন ব্রাহ্ম-সমাজরূপ কলপতৰু হইতে সকলেই যথাভিলষিত, যথা ক্ষুধা, যথা পরিপাকশক্তি, কনিষ্ঠ ও শ্রেষ্ঠ-উপাসনা অলপ অথবা উচচ ব্রহ্মজ্ঞান শিক্ষা করিবেন । তখন ব্রাহ্ম-সমাজ ই ভারতবাসীগণের ম'হ সমাজ হইবেক । ব্রাহ্ম-সমাজের ভাণ্ডার ব্রহ্মজ্ঞানে পূর্ণ থাকিবেক । ব্রহ্মরূপ পরমাদর্শ উর্দ্ধদেশে অবস্থিতি করিবেক, এবং প্রচারকদিগের উপদেশে নানা জাতীয় দুর্বলাধিকারীরা স্ব স্ব ধারণ অনুসারে আপন আপন স্বাধীনতার মধ্য দিয়া সেই ব্রহ্মরূপ-লক্ষ্যের উদ্দেশে ভক্তিপূর্বক কনিষ্ঠোপাসনার আচ. রণ করিতে থাকিবেন । তখন ব্রাহ্ম-সমাজকে ভারতীয় জনসাধারণ বিজাতীয় ভাবে দৃষ্টি করিবেন না, কিন্তু আপনারদের ধর্মের চুড়ারূপে গ্রহণ করিবেন। ৬ । কিন্তু আপত্তি এই যে ব্রাহ্ম বা ব্রহ্মজ্ঞানীর বিশ্বাস যখন একত্রহ্মে তখন তিনি স্বীয় বিশ্বাসের বিৰুদ্ধ পৌত্তলিক ধর্ম্মের উপদেশ দুর্ব্বলাধিকারীকে কিমতে করিতে পারেন ? এই কথার সহজ উত্তর এই যে ব্রাহ্মকে ঈশ্বরের ইচ্ছার সহিত যোগ দিয়া চলা উচিত । ঈশ্বর দুর্বলাধিকারীর ধারণার সম্মুখে কৃপা করিয়া স্থল-উপাসনা ধারণ করিতেছেন, স্থলোপাসকের ঈশ্বরের নিয়মে বদ্ধ হইয়া ঈশ্বরেরই উদ্দেশে দেবদেবীর পূজা করিতেছেন। যখন দুর্ব্বলকে স্থল উপায়ে সবল