পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

**, অধিকার-তত্ত্ব । ১৩। মনে কর, কোন ব্যক্তি বা সম্প্রদায় খৃষ্টের ঐরূপ দোষ দেখিয় খৃষ্টকেই মহল্পোক বলিয়া গ্রহণ করিলেন না ; কিন্তু ধর্ম্মকার্ষ্যে ও ঈশ্বরোপাসনার মধ্যে মহল্লোকের আদর্শ অৰলম্বন করা ও মহল্লোককে ভক্তি করা অত্যাবশ্যক, এ বোধ যদি তাহারদের মনে জাগৰুক থাকে, তবে, সেই বোথানুসারে উাহারা খৃষ্টের পরিবর্তে চৈতন্যকে সর্ব্বাপেক্ষ মহৎ ও গুৰু বলিয়া গ্রহণ করিতে পারেন। এইরূপে কালেতে খৃষ্টীয়-ব্রাহ্ম, গৌরাঙ্গীয়-ব্রাহ্ম, মহহ্মদী-ব্রাহ্ম দল হওয়ার বিচিত্র নাই । যদি ভাহাই হয় তবে নানক পন্থী, চৈতন্য-সম্প্রদায়, খৃষ্টীয় সম্প্রদায় ও মহন্ধদী-সম্প্রদায় কি দোষ করিল ? অতএব ঈশ্বরোপাসনার মধ্যে কাহাকেও ধর্ম্মনায়ক পদে বরণ না করাই কর্ত্তব্য। সে ভাবকে মন হইতে দূর করাই উচিত । ১৪ । কিন্তু যদি নায়ক-বাদী-ব্রাহ্মের" এমন কথা বলেন যে পুরাবৃত্ত পাঠ দ্বারা ঐ সকল সাধুদিগের দোষ গুণ বিচারের প্রয়োজন নাই । শত শত লোক তাহারদের পদানত হইয়াছেন, র্তাহারদের দ্বারা জগতে শত শত উপকার হইয়াছে, অতএব তাহারদিগকে পূজা দেওয়া ধার্ম্মিক মাত্রেরই কর্ত্তব্য । এই কথায় এই প্রশ্ন উপস্থিত হয় যে, আমরা কি অন্ধ হইয়া তাহারদিগকে ভক্তি করিব—না তাহারদের এক গুণ ধার্ম্মিকতাকে বহুগুণে কম্পিত করিয়া তাহারদের পূজা করিব ? ১৫ । আর গুৰুবাদী ব্রাহ্মেরা যদি এমন মনে করিয়া থাকেন যে, তাহারদের মধ্যে অনেকে এখনও খৃষ্ট, চৈতন্য, প্রভৃতি মহল্লোকের আদর্শতাও অবলম্বন ব্যতীত সাক্ষাৎ