পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধিকার-তত্ত্ব । १७ সম্বন্ধে ঈশ্বরোপাসনার উপযুক্ত হন নাই, বিশেষতঃ বর্তমানকালে ইংরাজী শিক্ষার প্রভাবে অনেকে খৃ স্টের প্রতি বিশেষ পক্ষপাতী হইয়াছেন, সেই জন্য খৃষ্টকে বিশেষ করিয়া ও চৈতন্যকে অণপ করিয়া সাধারণের ধর্ম্ম-শিক্ষার আদর্শ করা গিয়াছে। তাহা হইলে তদ্রুপ দুর্ব্বল ব্রাহ্মজ্ঞানীদিগের নিমিত্তে সেই তাৎপর্ষ্যে স্বতন্ত্র উপাসন স্থান করিয়া দেওয়া উচিত, যাহাতে র্তাহার ও অন্যে স্পষ্ট বুঝিতে পারেন যে তাদৃশ কনিষ্ঠ্যেপাসনা করিতে করিতে অন্তে বিশুদ্ধ ব্রহ্মোপাসনায় আরোহণ করাই তাহারদের লক্ষ্য । নতুবা তাহরদের স্থল বুদ্ধি যোগ করিয়া ব্রহ্মজ্ঞানের আলোচনার পরম স্থান ব্রাহ্মসমাজকে চিরকালের নিমিত্তে কলঙ্কিত ও স্থলোপাসনার মন্দির করা কর্ত্তব্য নহে । ব্রহ্মজ্ঞানে বিন্দুমাত্র ভ্রম ও তঙ্ক নাই, সর্ব্বসাধারণের এই বিশ্বাস যেমন ভারতবর্ষে চিরকাল থাকিয়া আসিয়াছে, এখনও সেইরূপই থাকা বিধেয় । তাহা হইলে ব্রহ্মজ্ঞানই লোকের আদর্শ হইবেক ; খৃষ্ট, চৈতন্য নহে । ১৬ । ব্রাহ্মসমাজের উদ্দেশ্য মহত্তর । ব্রাহ্মসমাজ আপনি পরিশুদ্ধ ও সুক্ষম-ব্রাহ্মজ্ঞানের ভাণ্ডার হইয়া যেমন দুর্ব্বলাধিকারীকে তাহার স্বীয় ধারণ ও অধিকার অনুসারে উন্নত করিবেন, সেইরূপ অভিনব ব্রাহ্মের। যদি খৃষ্টের ধর্ম্মনায়কত্ব পরিত্যাগ না করেন, তবে তাহারদিগকেও দুর্বলাধিকারী জ্ঞান করত, তাহারদের সহিত তদনুযায়ী ব্যবহার । করিতে ক্ষান্ত থাকিবেন না । কিন্তু এই ভয় হয়, যে বাই বেলে খৃষ্টশূন্য ব্রহ্মজ্ঞান নাই—অতএব, বাইবেল-অবলম্বী Վճթ