পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৪৬

8Ց. অধ্যাত্ম-রামায়ণ । লেন;–“তুমি সকলের পথ-প্রদর্শক ; তোমার স্থাপিত শূলে বহুতর মানুষ গ্রথিত ছিল ; জাবার পথপ্রদর্শক হইবে কে? তথাপি তুমি এখন এবং সে অরণ্যচর হস্তী ব্যাঘ্র এবং মহিষ লোক-ব্যহারানুবর্ত্তী বলিয়া তোমার পথ দেখাইব |” সকলকে ভক্ষণ করিতেছিল। তখন রাম জ্যারোশিষ্যগণকে পথ-প্রদর্শনে আদেশ করিয়া কিছুদূর পিত শাসন ধারণপূর্বক লক্ষ্মণকে বললেন,"ঐ অতি স্বয়ং তাহার অনুগমন করিলেন। অনস্তুর, দেখ ভাই! ভীরুগণের ভয়াবহ মহাকায় রাস রাম, প্রতি ভরে অনুগমন করিতে নিষেধ করিলে আমাদিগের সম্মুখীন হইতেছে। উপস্থিত হইল অত্রি, স্ট্রীয় আশ্রমে প্রত্যাগমন করিলেন। কমল | আর কি ? তুমি শরাসন সজ্জিত করিয়া অবস্থান লোচন রাম, তথা হইতে একক্রোশমাত্র গমন কর। জনকননি। ভয় পাইওনা।" রামচন্দ্র করিয়া মহতী নদী—দেখিতে পাইলেন ; দেখিয়া | এই বলিয়া শর গ্রহণপূর্বক আচলের স্তায় অবস্থিত অত্রি-শিষ্যদিগকে বলিলেন —“নদীসত্ত্বরণে কোন ৷ হইলেন। তখন সেই স্বাক্ষস,–সীতাপতি, লক্ষণ এবং উপায় আছে কিনা।” তাহারা বলিল –হে রঘু সীতাকে অবলোকন করিয়া অট হাত করিল ; এবং নন্দন ! মুদৃঢ় নৌকা আছে, আমৱা তোমাদিগকে ভয়ঙ্করভাবে এই কথাবলিতে লাগিল—“কে তোমরা ক্ষণমধ্যে এই নদী পার করাইব। অনন্তর, মুনিকুমার দুইজন সুদুর্ম্মদ বালক । দেখিতেছি, শর-তৃণীর ও গণ রাম, লক্ষণও সীতাকে নৌকায় আরোহণ করাইয়া জটাবহুল ধারণ করিয়াছ ; এবং মুনিবেশে সজ্জিত ; নদী পার করিয়া দিল । পরে রামের নিকট সানন্দে অথচ সঙ্গে রমণীও রহিয়াছে ! আহা ! তোমর বিদায় পাইয় তাহারা সকলেই অত্রির আশ্রমে , কি সুন্দর । আমার মুখ-প্রবিষ্ট গ্রামের সদৃশ ! প্রত্যাবৃত্ত হইল। অনন্ত রাম লক্ষণ ঝিল্লীগর্ণের তোমরা কি জন্য এই হিংস্রসস্কুল ঘোর বনে আসিঝঙ্কাররবে নিনাদিত, বিবিধ মৃগগণে আকীর্ণ, সিংহ য়াছ " রামচন্দ্র রাক্ষসের কথা শুনিয়া ঈষত হাসিতে ব্যাঘ্র প্রভৃতি শ্বাপদ জন্তু দ্বারা ভীষণ, বিকটাকার. হাসিতে তাহাকে বলিলেন;–“আমি রাম ; ইনি রাক্ষসগণের লীলাভূমি, ঘোরতর লোমহর্ষণ অরণ্য- আমার প্রিয় ভ্রাতা লক্ষ্মণ ; আর, ইনি আমার মধ্যে উপস্থিত হইলেন । সেই স্কোরবনে প্রবেশ প্রাণ-প্রিয়া সীতা। আমরা পিতৃবচনের সন্মান করিয়া রাম, লক্ষ্মণকে বলিলেন, ইহার পর রক্ষা করত ভবাদৃশ দুষ্টগণের দণ্ড দিবার জন্ম যত্ব সহকারে আমার সহিত গমন করিতে বনে আসিয়াছি।” রামের এই কথা শুনিয়া বিরাধ হইবে। শরাসন গুণযুক্ত করিয়া শরনিক্ষর করতলে অট্টহাস্য করিল এবং মুখ ব্যাদানপূর্বক হস্তদ্বয়ে ধারণ করত আমি অগ্রে গমন করি, পশ্চাৎ শূল ধারণ করিয়া ব্যগ্র ভাবে বলিতে লাগিল ;– শাসন হন্তে তুমি আমার অনুগমন কর। মায়া , "রাম! তুমি আমাকে জান নু —আমি লোকপ্রসিদ্ধ যেমন আত্মা এবং পরমাত্মার মধ্যবর্তী, সেইরূপ বিরাধ ! আমার ভয়ে মুনিগণ অরণ্য পরিত্যাগ সীতা আমাদিগের উভয়ের মধ্যবর্ত্তিনী হইয়া করিয়া এস্থান হইতে স্থানান্তর গমন করিয়াছে। গমন করুন। চারিদিকে দৃষ্টি সঞ্চারণ কর। এখানে যদি রাচিতে ইচ্ছা থাকে, তাহ হইলে সীতাকে অতিশয় রাক্ষস ভয় বুঝিতে পারিতেছি। এবং পরিত্যাগ করিয়া নিরস্ত্রভাবে তোমরা ইজনে পল হে শত্রুদমন। দণ্ডকারণ্যে যে রাক্ষসভয় আছে, স্বন কর; নতুব। আমি শীঘ্র তোমাদিগকে ভক্ষণ তাহা আমি পূর্ব্বেও শুনিয়াছি" এইরূপ পরস্পর | করিয়া ফেলিব।" এই বলিয়া রাক্ষস সীতাকে গ্রহণ কথোপকথন করিতে করিতে র্তাহারা সাৰ্দ্ধযোজন | করিবার জন্ত তাহাদিগের সম্মুখে ধাবমান হইল। পথ গমন করিলেন। তথায় কহলার, কুমুদ, পদ্ম- রাম যেন হাসিতে হাসিতে অবলীলাক্রমে বাণদ্বারা কঙ্কলার এবং কমলবনে শোভিত শীতজলে পরিপূর্ণ | তদীয় বাহু যুগল ছেদন করিয়া ফেলিলেন অন স্তর এক পুষ্করিণী আছে, দেখিতে পাইলেন। তাহার বিরাধ কোপাবিষ্টচিত্তে বিকটবদন ব্যালানপুর্ব্বক নিকটবর্তী হইয়া তাহার নির্শ্ব সলিল পান রামের প্রতি ধাবমান হইল। তাবস্থাতেই রাম করিলেন। অন্তর জলের নিকট তীর-তরুর ছায়া | সেই বিরাধের পদযুগল ছেদন করিলেন। সেই তলে ক্ষণকাল উপৰিষ্ট হইলেন। ৰিয়ৎক্ষণ পরে | ব্যাপার বড়ই আশ্চর্ঘ্যের স্থায় বোধ হইয়াছিল। BBB BBBB BBB BBBB BB BBS BBS BBBS BBBB BB BBBS BBB আসিতেছে দেখিতে পাইলেন। তাহার বদন—ভীষণ স্থায় রামের দিকে আসিতে লাগিল। তখন দশনরাজি-পরিপূর্ণ; সে নিজ গর্জনে সমস্ত । রাম অৰ্দ্ধচলাকার বাণদ্বারা এই রাক্ষসের প্রকাণ্ড প্রাণীদিগকে তীভ করিতেছিল ; তাহার বামম্বন্ধ- মস্তক ছেদন করিলেন । সেই ছিন্নমস্তক অবিরল