পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3\, অধ্যাত্ম-রামায়ণ স্বস্বতন্মাত্র হইতে স্থল পঞ্চভুত উৎপন্ন হয়—রাজস । জগতে সাধু, সাধুসঙ্গই মোক্ষের মুল, যেহেতু অহঙ্কার হইতে দশ ইপ্রিয় উৎপন্ন হয়—সাত্ত্বিক | সৎসঙ্গ হইলে তত্ত্বকথা শ্রবণে অনুরাগ হয়, অনুরাগ অহঙ্কার হইতে ইপ্রিয়াধিষ্ঠাতা দেবগণের ও মনের হইলে তোমাতে দৃঢ়ভক্তি, ভক্তি হইলেই প্রচুর উৎপত্তি ; হুঙ্ক তন্মত্রাদিরূপ অহঙ্কারের কার্য্য বিজ্ঞান-বিজ্ঞান হইলে অবশুই মুক্তিলাভ হয়, হইতে সুহ্ম সমষ্টিরূপ হিরণ্যগর্ভরূপ লিঙ্গশরীর পণ্ডিতেরা এই প্রধান মুক্তিমাৰ্গ সেবা করিয়া থাকেন। উৎপন্ন হয়। তাহার নামান্তর স্বত্র, সেই স্বত্র হইতে হে রাখব। হে হরি। আমি তোমার নিকট প্রার্থন স্কুল সমষ্টিরূপ বিরাট পুরুষ উৎপন্ন হয়—বিরাট করি যে, তোমাতে আমার প্রেমরূপ ভক্তি ও সাধুপুরুষ হইতে স্থাবর জঙ্গম সমস্ত উৎপন্ন হইয়াছে। সঙ্গ হউক। অদ্য তোমার দর্শনে আমার জন্ম ও যাগ তন্মধ্যে দেবতা ডির্যাগযোনি ও মনুষ্যরূপ জঙ্গম যজ্ঞাদি সফল হইল; দীর্ঘকাল অনন্তমনে যে সকল পদার্থ কালসহকৃত অষ্টের বশবর্তী হইয়া উৎপন্ন | তপোনুষ্ঠান করিয়াছি, আজ তোমার পূজা, সেই হইয়াছে। হে জগদীশ্বর, এই জগতে তুমি ভিন্ন | সকল তপস্যার ফল ;–বিবেচনা করিতেছি। যাহা কিছুই নাই, তুমি কখন রজোগুণরূপ উপাধিযোগে হউক রাম। তোমার নিকট আমি প্রার্থনা করি যে, ব্রহ্ম হইয়া জগতের নির্ম্মাণ করিতেছ, কখন সত্ত্ব ; তুমি সীতাদেবীর সহিত আমার হৃদয়ে সর্ব্বদা বাস গুণ যোগে বিষ্ণুরূপে, জগতের পালক বলিয়া কর এবং আমি গমন ও উপবেশনকালে তোমাকে পণ্ডিতগণ কর্তৃক কথিত হইতেছ। প্রলয় কালে হৃদয়ে স্মরণ করিতে পারি।” অগস্ত্যমুনি এইরূপ তমোগুণময় রুদ্ররূপী হই সমস্ত জগতের সংহার | স্তব করিয়া ঐরামকে রামের জন্য মহেস্ৰকর্তৃক করিতেছ। মৎকালে প্রাণিগণের বুদ্ধি সত্বগুণাব- পূর্ব্বকালে স্থাপিত শরাসন অক্ষয় তৃণীর বাণ লম্বিনী হয় ; তৎকালে তাহাদিগের জাগ্রদবস্থা, রজোগুণাবলম্বিনী হইলে স্বপ্লাবস্থা, তমোগুণাবলম্বিনী হইলে তাহদের সুপথ্যবস্থা হইয়া থাকে। হে রাম , তুমি সাফিস্বরূপ হইয় তাহাদিগের ঐ সকল অবস্থ অবলোকন করিতেছ, তোমার কোন কালে অধস্থাস্তর হয় না; যেহেতু তুমি নিত্য চৈতন্তস্বরূপ। হে রঘুনন্দন ! যৎকালে তোমার জগৎ স্বষ্টিরূপ লীলা করিতে অভিলাষ হয়, তৎকালে মায়া তোমাকে অবলম্বন করে ; হে পরমাত্মনৃ! তুমি নিগুণ, কিন্তু মায়া সংস্কষ্ট হইলে সগুণের স্তায় তোমার প্রকাশ হয়. হে রাম ! তোমার মায়া দ্বিবিধ, একের নাম অবিদ্য—অপরের নাম বিদ্যা। অবিদ্যাবশবর্তী লোকেরা প্রবৃত্তিমাগে রত হয়, সুতরাং তাছাদের মুক্তি হয় ন—ক্রমশঃ সংসার-বন্ধন হয়, বিদ্যা-বশবর্তী লোকেরা নিবৃত্তিমার্গে রত হইয়া তোমাতে দৃঢ় ভক্তি লাভ করে ; মুতরাং তাহদের মোক্ষ হয়, যাহারা ভক্তিসহকারে তোমার মস্কোপাসনা করে, তাহারাই বিদ্যা-বশবর্তী হইয়া থাকে। অতএব তোমারমন্ত্রোপাসক ভক্তদিগের নিশ্চয় মুক্তি লাভ হইবে; তোমার প্রতি ভক্তিশূন্ত ব্যক্তিদিগের স্বপ্নেও মুক্তিলাভ হয় না। হে ও রত্নখচিত খড়গ প্রদান করিলেন । অনস্তর অগস্ত্যমুনি কহিলেন, “রাম! তুমি ভূভার হরণের নিমিত্ত অবতীর্ণ হইয়াছ, এক্ষণে পৃথিবীর ভারভূত রাক্ষসবংশ সমুলে উচ্ছিন্ন কর, এস্থান হইতে দুইযোজন-পক্ষ অতিক্রম করিয়া গৌতমী নদীতটে পঞ্চবটী নামক স্থান দেখিতে পাইবে, সেইস্থানেই চতুর্দশ বর্ষের অবশিষ্টকাল অতিবাহিত করত দেবতাদিগের বহুতর কার্য্য সাধন কর। প্রভু সর্ব্বজ্ঞ হরি, অগস্ত্যের বাক্য ও তৎ কৃত প্রকৃতার্থ পূর্ণস্তব শ্রবণে সানন্দে মুনিকে সম্ভাষণপূর্বক তৎপ্রদর্শিত পথে গমন করিলেন। তৃতীয় অধ্যায় সমাপ্ত । চতুর্থ অধ্যায়। অনন্তর রাম, পথে যাইতে যাইতে গিরি পাইলেন দেখিয়াই “কি এ * ভাবিয়া বিস্মিত হইলেন, এবং লক্ষ্মণকে বলিলেন, “সৌমিত্রে ! সম্মুখে এই একটা ৱাক্ষস রহিয়াছে; ধনু জানান কর; এই ঋষি ভোজীকে নিহত করিব।” সেই DDS DDDD BBB BBB BBBBS BBBS BBBB BB BBB BBBBSBB BBB BBB তপঃক্লেশ-সহিষ্ণু, শান্তিগুণাবলম্বী এবং তোমার বলিঙ্গ:-“রাম হে। আমি তোমার বধ্য নহি ; আমি Di BBB BB BBB BB BBS BBB BBB BBB BB BBBS DDD DD DDS এবং সংযম প্রভৃতি নানা গুণযুক্ত, তাহারাই এই তোমারই ছিত-কামনায় পঞ্চবটী বনেবাস করিতেছি,