পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্য-কাণ্ড । 8업 দেখ, কোন কোন দিন ভূমি ও লক্ষ্মণ মৃগয়ায় গমন না। শরীর-প্রভৃতি সমুদয় পদার্থ অনাত্মা নহে; করিলে আমি জনকনন্দিনী জানকীকে পরম যত্বের | কিন্তু ঐ সকল বস্তুতে আত্মা বুদ্ধির নাম মায়। সহিত রক্ষা করিব।” রামচন্দ্র গৃধের এই কথা এবং উহা দ্বারাই সংসার পরিকল্পিত হইয়া থাকে ; শুনিয়া সঙ্গেহে কহিলেন —’হে গৃধরাজ ! তুমি ! হে কুল-নন্দন! ঐ মায়ার দুই রূপ নির্দিষ্ট সাধু, তবে এই বনের অনতিদূরে থাকিয়া আমার আছে—বিক্ষেপ শক্তি ও আবরণ শক্তি ; ইহার মধ্যে প্রিয় কার্য্য উত্তমরূপে সম্পন্ন কর। এইরূপ " প্রথমটা মহত্তত্ত্বাদি ব্রহ্মা পর্য্যস্ত স্কুল ও সুহ্ম ভেদে সম্ভাষণ করিয়া রঘুনন্দন রাম তাহাকে আলিঙ্গন বিশ্বকে প্রকাশ করে এবং অপরটি সকল জ্ঞান পূর্বক লক্ষণ ও সীতা সমভিব্যাহারে পঞ্চবটা গমন আবরণ করিয়া অবস্থিতি করে। হে লক্ষণ! চৈতন্য করিলেন। র্তাহারা গোদাবরী তীরে আগমন । অপ্রকাশিত থাকিলে মনুষ্যেরা বিক্ষেপ-শক্তিকরিলে রাম মুবুদ্ধি লক্ষণ কর্তৃক পঞ্চবটী বনে | কল্পিত জগৎকে সত্য বলিয়া প্রত্যয় করে। রজ্জতে প্রশস্ত বাস গৃহ নির্ম্মাণ করাইলেন। র্তাহার | যেমন ভুজঙ্গ ভ্রম হয়, সেইরূপ অধিষ্ঠান বিচার সেই কদম্ব পনস আয়-প্রভৃতি তরুনরে পরিবৃদ্ধি করিলে কিছুই নাই; মন্থয্যেরা যাহা কিছু শ্রবণ লোকোপদ্রব ও রোগবর্জিত গঙ্গার উত্তর তীরে করে—দর্শন করে, অথবা স্মরণ করে, সে সমস্তই অবস্থিতি করিতে লাগিলেন। ঐরাম জনক স্বপ্ন-সৃষ্টবস্তুর ন্যায় মিথ্যা। এই দেহ সংসার নদিনীকে আনন্দিত করতঃ সর্ব্ব-শাস্ত্র বিশারদ বনস্পতির দৃঢ় মূল স্বরূপ এবং তাহাই পুত্র দারলক্ষ্মণের সহিত দেব-লোকে ইন্দ্রের ন্যায় পরম মুখে ; দির উৎপত্তির মূল—অতুঐব ঐ দেহ না থাকিলে অবস্থিতি করিতে লাগিলেন। লক্ষ্মণ, ঐরামের | আত্মার কিছুই নাই; অর্থাৎসুত্রাদির উৎপত্তি সেবার জন্য প্রতিদিন কন্দ-মূল ও ফলাদি আহরণ হয় না। আর পঞ্চতন্মাত্র দেহ-পঞ্চ স্থূল ভূত পঞ্চ করিয়া প্রদান করিতে লাগিলেন এবং ধনুর্ব্বাণ ! তন্মাত্র, অহঙ্কার বুদ্ধি দয়া ইলিয় মন ও মূলধারণ করত নিত্য নিত্য রাত্রি জাগরণ করতেন। প্রকৃতি-ঘটিত ; ইহাকে ক্ষেত্র বলিয়া জানিবে তাহারা তিন জনে গোদাবরীর নির্মুল জলে অব এবং ইহা দেহ নামে কথিত, ঐ দেহেতে মনুগহন পুর্ব্বক স্নান করতেন এবং সীত, রাম ও | য্যের অহং বুদ্ধি করিয়া থাকে। জীব দেহ লক্ষ্মণের মধ্যবর্ত্তিনী হইয়া গমনাগমন করিতেন। হইতে বিভিন্ন, জীবই নিরাময় পরমাত্মা; আমি সেই লক্ষণ প্রতাক্তকরণে গৌতমী নদী হইতে জানয়ন | জীবের বিজ্ঞান সাধন কিঞ্চিং বলিতেছি শ্রবণ কর। করিয়া ঐরাম ও সীতার সর্ব্বদা সেবা করতেন। মুমুগ্ধ ব্যক্তিরা জীব হইতে পরমাত্মাকে কখনই একদিন পরমেশ্বর রাম নির্জনে উপবেশন করিয়া ; ভিন্ন জ্ঞান করিবে না এবং অভিমান, দম্ভ, হিংসা আছেন, ইত্যবসরে লক্ষ্মণ সবিনয়ে প্রণিপাত করিয়া প্রভৃতি মানসিক বৃত্তি পরিত্যাগ করবে। পংকত র্তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন ; “হে ভগবন! আপনি | নিদা সহন, কায়মনোবাক্যে ভক্তি সহকারে সদগুরু ভিন্ন ভূমণ্ডলে আর কেহই বক্তা নাই, অতএব আমি আপনার নিকট মোক্ষের ঐকাস্তিক কারণ শ্রবণ করিতে বাসনা করিতেছি—হে কমললোচন! তাহা সংক্ষেপে বলুন। হে রঘুকুল-শ্রেষ্ঠ ! ভক্তি ও বৈরাগ্য দ্বারা পরিবর্দ্ধিত মননাদিরূপ জ্ঞান ও নিদিধ্যাসনজনিত আত্ম সাক্ষাৎকার স্বরূপ বিজ্ঞানের কথা বিশেষ করিয়া আমাকে বলুন।" ঐরাম কহিলেন—“হে বংস স্বাহ অবগত হইলে লোকমাত্রই অলীক জগতের সত্য স্বরূপে" ಡ್ತೀಚ್ಡಿ! | বিষয় বর্ণনা করিব শ্রবণ কর। অগ্রে মায়-স্বরূপ কৰি—তাহার পর জ্ঞানের সাধন-তদনম্বর বিজ্ঞানসংযুক্ত জ্ঞানের বিরক্স বর্ণনা করিব,-পরি- , শেৰে জাতব্য পরমাত্মার কথা বলিব,—ঐ সমস্ত । অবগত হইলে সংসারুভয়ের লেশমাত্র থাকে । সেবন ও সর্ব্বপ্রাণির সহিত সরল ব্যবহার করিবে এবং বাহ ও আন্তরিক শৌচ অবলম্বন করিবে । পরের অনিষ্ট চিত্ত, পরনিন্দ ও পরকে হস্তাদিদ্বারা প্রহার করিবে না এবং নিরহস্কার হইয়া দেহের জন্ম জরা মরণ আলোচনা করিবে, স্নেহশূন্ত হইয়৷ স্ত্রী পুত্র ধনাদির আসক্তি পরিত্যাগ করবে এবং ইষ্টালিষ্ট সমাগমে চিত্তকে সমভাবে রাখিয়া আমাতে অনন্তগত চিত্ত অৰ্পণ করবে। এবং জনসম্বাধরহিত বিশুদ্ধ স্থানে বাদ করিয়া প্রাকৃত জনসমূহের সহবাস পরিত্যাগ করিব। অনবরত আত্ম-তত্ত্বজ্ঞানে উদ্ধৃষ্ণেগ ও সময়ে সময়ে বেদাস্ত শাস্ত্রের অর্থালোচনা করিবে। কথিত কার্য্য দ্বারা জ্ঞানেচ্ছু ব্যক্তিদিগের জ্ঞান লাভ হয়, বৈপরীত্যাচরণে বিপরীত ফল লাভ হয়। আত্ম-বুদ্ধি, প্রাপ, মন, দেহ, ও অহঙ্কার হইতে অতিরিক্ত চিদাম্মস্বরূপ