পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরণ্য-কাণ্ড । “আমার ভ্রাতা পরম সুন্দর লক্ষ্মণ বহির্দেশে আছেন, তিনিই তোমার অনুরূপ পতি হইবেন ; তাহার সহিত এই বনমধ্যে বিচরণ কর।” রাক্ষসী ঐরামের বাক্য শ্রবণানন্তর বহির্দেশে গমন করিয়া লক্ষ্মণকে কহিল ;–“হে মুন্দর! তুমি জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার অনুমত্যনুসারে আমার পতি হও, এক্ষণে আমরা উভয়ে মিলিত হই; বিলম্ব করিওন।” লক্ষ্মণ রাক্ষসৗর বাক্য শ্রবণ করিয়া কহিলেন;–“হে সাধিব । আমি ঐরামের দাস ; তুমি আমাকে পতিত্বে বরণ করিলে তাহার দান্ত স্বীকার করিতে হইবে, ইহা অপেক্ষা অধিক দুঃখের বিষয় আর কি আছে ?--হে ভদ্রে ! তুমি রামের নিকট গমন কর, তিনি অখিল ব্রহ্মাণ্ডের ঈশ্বর, অতএব তত্ত্বারা তোমার মঙ্গল হইবে । রাক্ষসী লক্ষ্মণের বাক্যশ্রবণীনস্তুর ঐরামের নিকট আগমন করিয়া ক্রোধ সহকারে কহিল ;–“হে রাম ! তুমি অব্যবস্থিত চিত্তের দ্যায় কি জন্য মিথ্যাবাক্যদ্বারা আমাকে ভ্রমণ করাইতেছ? এক্ষণে তোমার অগ্রেই সীতাকে ভক্ষণ করিব।” অনস্তুর রক্ষী বিকটাকৃতি ধারণ করিয়া জানকীর প্রতি ধাবিত হইল। অমিত-পরাক্রম লক্ষ্মণ শ্রীরামের আজ্ঞানুসারে রাক্ষসীকে গ্রহণ করিয়া শাণিত খড়গদ্বারা তাহার নাসিকা ও কর্ণযুগল ছেদন করিলেন। অনস্তর রুধির-সিক্ত শরীর রাক্ষসী ঘোরতর শব্দে ক্রন্দন ও কঠোর বাক্যোচ্চারণ করিতে করিতে খরের সম্মুখে পতিত হইল । অনন্তর খরতর-বাদী খর কহিল, “একি ! কোন ব্যক্তি মৃত্যুমুখে প্রবেশ করিতে ইচ্ছুক হইয়া তোমার এইরূপ অবস্থা করিয়াছে ? তুমি তাহার নাম ব্যক্ত কর; কাল-সদৃশ হইলেও ক্ষণকালমধ্যে তাহাকে বধ করিব রাক্ষসী তাহাকে কহিল ;–রাম, সীতা ও লক্ষ্মণের সহিত দণ্ডকারণ্যে রাক্ষস-ভীতি দূর করত গোদাবরী তীরে অবস্থান করিতেছে। রামের কনিষ্ঠ ভ্রাতা লক্ষণ, জ্যেষ্ঠের অজ্ঞায় আমার এইরূপ অবস্থা করিয়াছে। যদি তুমি বাক্ষসকুলে জন্মগ্রহণ করিয়া থাক ও যথার্থ বীর হও, তবে সেই শক্রদ্বযুকে বিনাশ কর, আমি তাহাদিগের রুধির পান ও মাংস ভক্ষণ করিব। আর যদি তাহাদিগকে উপেক্ষা কর, তবে আমি প্রাণ পরিত্যাগ করিয়া শমন-সদনে গমন করিব। খর, তৎশ্রবণে, ক্রোধে অধীর হইয়। বহিগত হইল। অনন্তর সে রামের বিনাশ-বাসনায় চতুর্দশ সহস্র রাক্ষস-সৈন্য প্রেরণ করিয়া দূষণ ও ত্রিশিরার সহিত নানা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া স্বয়ং রামের নিকট গমন কলি সঙ্গল কোলাহল প্রক \ 8న করিয়া রাম,লক্ষ্মণকে কছিলেন;–“এ ভীষণ কোলাহল শুন যাইতেছে, নিশ্চয় রাক্ষসগণ আগমন করি. ८उप्रश् । अझ आयाङ्ग जरिउ. cस्याब्रउद्र सूक्र করিবে। হে মহাবল ! তুমি সীতাকে লইয়। পর্ব্বত-গুহার মধ্যে অবস্থান কর। আমি ঘোরদর্শন রাক্ষসগণকে বিনাশ করিব, তুমি এ বিষয়ে কোন আপত্ত্বি করিও না, আমার দিব্য ” লক্ষ্মণ রামবাক্ষ্য স্বীকার করিয়া সীতার সহিত পর্ব্বত-গুহায় গমন করিলেন। রামচন্দ্র কঠোর শরাসন, অক্ষয়-শর ও তৃণীর-যুগল ধারণ করিলেন, এবং বন্ধপরিকর হইয়া সাবধান ভাবে রহিলেন। অনস্তর রাক্ষসগণ আগমনপূর্ব্বক রামের উপর বিবিধ অস্ত্রশস্ত্র শিলাখণ্ড ও বৃক্ষ-সকল নিক্ষেপ করতে লাগিল। রামচন্দ্র অবলীলাক্রমে ক্ষণমধ্যে সেই সকল অশ্লাদি তিলতিল ছেদন করিলেন। রঘুবর প্রহরাদ্ধমধ্যে দূষণ, ত্রিশিরা ও সমস্ত রাক্ষসগণকে বিনাশ করলেন, অনস্তর,লক্ষ্মণ, গুহামধ*হইতে সীতাকে লইয়। রামচন্দ্রের নিকট সমর্পণ করিলেন ওনিহত রাক্ষসগণকে অবলোকন করিয়া বিস্মিত হইলেন। জনক-নন্দিনী প্রসন্ন-মুখে রামকে আলিঙ্গন করিয়া রাuমর শরীরের অস্ত্র-ক্ষত-দেশে হস্ত মার্জন করিতে লাগিলেন। সেই সকল রাক্ষস-শ্রেষ্ঠদিগকে নিহত দেখিয়া রাবণভগিনী শূৰ্পণখা গলায়ন কাল এবং লঙ্কগমন পূর্বক সভামধ্যে রাবণ-চরণ সমীপে ভূতলে পতিত হইয়া রোদন করিতে লাগিল। রাবণ তাহাঙ্কে ভয়বিহ্বলা দেখিয়া কহিল ;–“ৰংসে ! ॐ, উঠ ; ভদ্রে ! ইন্দ্র, যম, বরুণ, বা কুবের, কে তোমাকে বিরূপ করিয়াছে বল ? আমি তাহাকে ক্ষ{কাল মধ্যে ভম্মাবশেষ করিব।” রাক্ষসী তাহাকে এই কথা বলিল —“তুমি প্রমত্ত, মুৰুদ্ধি, পানাসক্ত এবং স্ত্রৈণ ; তুমি সর্ব্বত্র যগুবৎ প্রতীয়মান इई८५छ्; তোমার চরপ চক্ষু নাই ; তবে রাজ্য রক্ষা কপে করবে ? রাক্ষস শত্রু রাম—যুদ্ধে খর, দূষণ, প্রশির ও চতুর্দশসহস্র মহাবল রাক্ষস বিনাশ কপিয়াড়ে । জনস্থানে মুনিগণ নির্ভয়ে বিচরণ করতেছে, তুমি ইহার কিছুই বিদিত নহ—এই জন্ত তোমাকে বিমূঢ় বণিতেছি।” রাবণ কহিল;—“রাম কে,কি ৫৫ কিরুপেই বা রাক্ষসগণকে বিনাশ করিল ? তুমি তাহ সবিস্তারে বল ; আমি তাছাকে সমূলেবিনষ্ট করব।” শূৰ্পণখা কহিল --আমি একদা জনস্থল হইতে গোদবার তীরে গমন করিতেছিলাম। মুনিগণের আবাসস্থান পঞ্চবটী কামনে দেখিলাম প্রফুল্ল কুণন, লোচন ধনুর্ব্বাণধর, জটাবঙ্গল বিভূষিত, প: ব্লগ: §