পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

☾Ꮰ ভক্ত-জনের চিত্তে বাস করি। তাহাদিগের সকল । অতীষ্ট প্রদান করিয়া থাকেন, আমি সেই স্থতিভা | জন রঘুনন্দনের শরণাপন্ন হইলাম । যাহার নামরূপ : পাবক দ্বারা সংসাররূপ ভীষণ কানন দগ্ধ হয়, যিনি মহাদেব প্রভৃতি দেবগণেরও দেবতা স্বরূপ এবং যিনি সহস্রকোটি দৈত্য নাশ করিয়া পৃথিবীর ভার হরণ করিয়াছেন, আমি সেই যমুনাজল-সদৃশ নীলকান্তিশোভিত পরম দয়াময় হরির শরণাপন্ন হইলাম। যিনি সংসার-বাসনা-সম্পন্ন ব্যক্তিগণের অতি দুল্লভ এবং স সারবিমুখ মুনিগণের সর্বদা নয়নগোচর হইয়া থাকেন, র্যাহার চরণরূপ অসামান্ত তরণী ভবসাগর তরণের এক মাত্র উপায়, আমি সেই বৃঘুনন্দন রামের শরণাগত হইলাম। যিনি হরপার্ব্বতীর মানস, মন্দিরে সতত বাস করিতেছেন এবং সুরপতি ও অসুরপতিগণ সতত র্যাহার চরণ-সেবায় নিযুক্ত আছেন, আমি সেই গোবৰ্দ্ধনধারী সুরগণের ও বরদাতা রঘুনাথের শরণাপন্ন হইলাম। যাহার পরধন ও পরদারে লোভ করে না এবং পরের গুণ কীর্ত্তন ও পরের সম্পদে যাহাদের চিত্ত সন্তুষ্ট হয়, সেই পরহিতরত ব্যক্তিরাই র্যাহাকে সেবা করিতে পারে, আমি সেই কমললোচন রঘুনাথের শরণাপন্ন হইলাম। যে রামচন্দ্রের বদন-কমল সর্ব্বদা হাস্যদ্বারা বিকসিত, র্যাহার নেত্রযুগল শ্বেতপদ্মের শোভা ধারণ করিতেছে, আমি সেই ইন্দ্রনীলমণি-সদৃশ কান্তিসম্পন্ন, ভক্তজনের অতিসুলভ এবং ব্রহ্মার গুরু রঘুপতির শরণাপন্ন হইলাম। হে রাম! যেমন জলপূরিত পাত্রে এক রবি প্রতিবিম্বত হইয়া বিভিন্ন রূপে প্রতীত হইয় থাকে, তুমি সেইরূপ সত্ত্ব-রজস্তমোগুণভেদে বিষ্ণু, ব্রহ্ম, শিব এই তিন প্রকার মূর্ত্তি ধারণ করিয়া জগতে বিভিন্নরূপে প্রকাশ পাই ভেছ—বস্তুতঃ তুমি একমাত্র। হে ভগবন্‌! তুমি দেবরাজেরও স্তরপার, তোমাকে আমি স্তব করি।

  • نزية to #.

' . o, أم لم ধিনি শতকোটি ৰুদপের স্কায় পরম সুন্দর মূর্ত্তি স্বারা সমস্ত জগৎ, মুগ্ধ করিতেছেন, যিনি নানা-পথ গ্রামী-চিত্ত-বিশিষ্ট্র মনুষ্যদিগের অতি ছয় ভ বস্তু, . কিন্তু যতিগণের চিত্তে সর্ব্বদা বিরাজ করিয়া থাকেন, আমি সেই সর্ব্বদু:খহাৰী মহাপ্রভু ৰঘুপতির শরণা i পন্ন হইলাম !" n § 牌", 粉 н f; 汴 *'. ঐরাম জটায়ুকুত স্তবে সন্তুষ্ট হইয়া কহিলেন, জটায়ো! তোমার মঙ্গল হউক। এক্ষণে বিষ্ণুর পরম ধামে গমন কর। ষে ব্যক্তি এই জটায়ুকৃত স্তব শ্রংণ লিপিবদ্ধ করবে, কিংবা সংস্থত হইয়া প্রতিদিন পাঠ করবে, সেই ব্যক্তি মরণ-সময়ে আমার স্মরণ অধ্যাতু-রামায়ণ । লাভ করিয়া অস্তুে সারূপ্যলাভ করিবে । পরমানন্দিত পক্ষীন্দ্র জটায়ু ঐরামের এইরূপ বাক্য শ্রবণানস্তর ঐরামের সমতা প্রাপ্ত হইয়া বৈকুণ্ঠধামে গমন করিলেন । * অষ্টম অধ্যায় সমাপ্ত । নবম অধ্যায় । অনন্তর ঐরামচন্দ্র দুঃখিতান্তঃকরণে সীতাশ্বেষণ করিতে করিতে লক্ষ্মণের সহিত বনাস্তরে গমন করিলেন। সেই স্থানে একটা বিচিত্ররূপ রাক্ষস । র্তাহীদের নয়নগোচর হইল। ঐ রাক্ষসের বক্ষঃস্থলে একটী বৃহৎ মুখ; উহার চক্ষু কর্ণ—কিছুই নাই। উহার বাহুদ্বয় যোজন-পরিমিত, ঐ সর্ব্ব-প্রাণহিংসক দৈত্যেন্দ্র কবন্ধ নামে বিখ্যাত ছিল। উহার বিস্তৃত বাহুদ্বয়ের মধ্যস্থলে ঐরাম-লক্ষণ উভয়ে বিচরণ করিতে লাগিলেন ; তাহার বাহুযুগলে বেষ্টিত হইয়া মহাবল রাক্ষসের দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন। তখন রাম লক্ষ্মণকে হাস্য করিতে করিতে কহিলেন ;– “লক্ষ্মণ! এই রাক্ষসের বিচিত্ররূপ অবলোকন কর—ইহার মস্তক ও চরণ নাই, বক্ষঃস্থলে একটী বৃহৎ মুখ, যোজন বিস্তৃত বাহুযুগল দ্বারা যাহা সংগ্রহ করে, তাহাই ভক্ষণ করিয়া এই বনে বাস করিতেছে । আমরাও ইহার বাহুদ্বয়ের মধ্যস্থলে পতিত হইয়াছি। হে রঘুনন্দন । রাক্ষসের বাহুদয় মধ্য হইতে নিগমের অন্তপথ নাই, এক্ষণে আমরা কি করি, দুরাত্মা এই দণ্ডেই আমাদিগকে ভক্ষণ করিবে ।” লক্ষ্মণ কহিলেন;–“হে রাঘব ! আপনি বিচার করিতেছেন কি ? আমরা দুই জনে অব্যগ্রভাবে এক একটী করিয়া রাক্ষসের বাহুমুগল ছেদ করি ; বিলম্ব করিবেন না। রাম, লক্ষ্মণের বাক্যে সম্মত হইয় শাণিত খড়গ দ্বারা রাহ্মসের দক্ষিণ হস্ত ছেদ করিলেন। লক্ষ্মণও তৎক্ষণাৎ তাহার বাম হস্ত ছেদ করিলেন। অনস্তর দৈত্যেন্ত্র রাক্ষস অতি বিস্ময়াপন্ন হইয়া কহিল—আমার বাহু-ছেদক তোমরা কি তুরশ্রেষ্ঠ ? না—স্বর্গের দেবতারাই বা আমার বাহুচ্ছেদন করিবে কিরূপে ?” মনস্তর রাজীবলোচন রাম সহান্ত বদনে কহিলেন ;–“আমরা অযোধ্যাধিপতি মহারাজ দশরথের পুত্র, আমার নাম রাম, এই সুবুদ্ধি লক্ষ্মণ আমার কনিষ্ঠ ভ্রাতা, ত্রৈলোক্য সুন্দরী জনকনন্দিনী আমার ভার্য্য, আমাদিগের সহিত বনে আসিয়াছিলেন। এক দিন আমরা দুইজনে মৃগ