পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধ্যা-কাণ্ড মনোহর-পীনবাহ নবদূর্ব্বাদল-হাম রাজীবলোচন ইতপুষ্কে অজ্ঞানবশতঃ আপনাকে ৰে কছু বলরাম, বামহস্তে ধনু ও দক্ষিণ হস্তে বাণ ধারণ করিয়া য়াছি, তাহা ক্ষমা করিতে হইবে। আপনার দর্শন দণ্ডায়মান রহিয়াছেন ; সুগ্রীব ও লক্ষ্মণ র্তাহার যোগিগণেরও দুল্লভ; কিন্তু আমি আপনার শরাঘাতে W3(t পার্শ্বদেশে দণ্ডায়মান হইয়া সেবা করিতেছে — দেখিয়া বালী ক্রীরামকে নিন্দা করিয়া মৃদু বচনে কহিল, “হে রাম ! আমি তোমার নিকট এমন কি অপরাধ করিয়াছি, যে আমাকে নষ্ট করিলে ? তুমি রাজধর্ম্ম না জানিয়া এইরূপ গৰ্হিত কর্ম্ম করি. স্থাছ। হে রাম। বৃক্ষের অন্তরালে লুক্কায়িত হইয়া আমার প্রতি বাণ ক্ষেপ করিলে—চোরের স্তায় যুদ্ধ করিয়া কি যশোলাভ করিতে পারবে ? তুমি ক্ষত্রিয়সন্তান বিশেষতঃ মসুর বংশে জন্ম গ্রহণ করিয়াছ, যদি আমার সহিত সন্মুখ-যুদ্ধ করিতে, তাহা হইলে তখন তাহার ফল পাইতে । সুগ্রীবই বা তোমার কি করিয়াছে ? আমিই বা কি করি নাই ? অহে রাম ! শুনিয়াছি বটে মহারণ্য-মধ্যে রাবণ তোমার ভার্য্যা হরণ করিয়াছে, তাহার উদ্ধারের নিমিত্ত সুগ্রীবের শরণাপন্ন হইয়াছ। হায়! হায় ! তুমি আমার লোকবিখ্যাত বীর্য্য জান না ? রাঘব ! আমি যদি ইচ্ছা করি, তাহা হইলে মুহূর্ত্তাদ্ধ মধ্যে রাবণকে সবংশে বদ্ধ করিয়া লঙ্গরি সহিত এস্থানে আনয়ন করিতে পারি। হে রঘুনন্দন ! তুমি ধর্ম্মিষ্ঠ বলিয়া জগতে বিখ্যাত ; বল দেখি ব্যাধের ন্যায় গুপ্ত ভাবে বানর বধ করিয়া কি ধর্ম্ম লাভ করিবে ? বানর-মাংস অভক্ষ্য, আমাকে বধ করিয়া কি করিবে ?” বালী এইরূপে বহুতর ভৎ সনা করিলে শ্রীরাম কহিলেন – “হে বানরেন্দ্র! আমি ধর্ম্ম ক্ষার্থ শরাসন গ্রহণ করিয়া এই জগতে বিচরণ করিতেছি, অধর্ম্মকারী ব্যক্তিকে নষ্ট করিয়া ধার্ম্মিক-ব্যক্তিকে প্রতিপালন করাই আমার কার্য্য ! হে কপীন্দ্র । কন্য, ভগিনী, ভ্রাতৃজায়া ও পুত্রবধূ, ইহারা সকলেই সমান, এই চারি. টীর মধ্যে যে কোন একটতে যে ব্যক্তি উপগত হয়, সেই মহাপাতকী, রাজগণের বধ্য ইহা নিশ্চয় জানিবে। হে বনচর ! তুমিও কনিষ্ঠ ভ্রাতার পত্নীতে বিশেষতঃ আপনারই সম্মুখে প্রাণত্যাগ করিতেছি। হে রাম ! মরণ-সময়ে অবশেক্রিয় হইয়া যাহার নাম গ্রহণ করিলে মরণাস্তে বৈকুণ্ঠধাম গমন হয়—সেই আপনি আজ আমার মরণ সময়ে সম্মুখে অবস্থিত। হে দেব। আপনি পরম পুরুষ, রাবণ বধার্থ ব্রহ্মাকর্তৃক প্রার্থত হইয়া ভূতল জন্মগ্রহণ করিয়াছেন ; জানকীও সাক্ষাৎ লক্ষ্মী ইহা অবগত হইয়াছি। এক্ষণে অনুজ্ঞা করুন;—আমি আপনার উত্তম ধামে গমন করি এবং আমার তুল্য বলশালী অঙ্গদের প্রতি কৃপাদৃষ্টি করুন। হে দাশরথে ! আপনি স্বয়ং করকমল স্বারা আমার বক্ষঃস্থল স্পর্শ করিয়া শল্য ডঞ্জার করুন।” ঐাম “তথাস্ত” বলিয়া তাহার হদয় হইতে স্বয়ং শল্য উদ্ধারকরত করতল দ্বারা স্পর্শ করিলেন, বানর-রাজও বানর-দেহ পরিত্যাগ করিয়া ক্ষণকাল মধ্যে অমরেন্দ্র-দেহ ধারণ করলেন । রামশর-পীড়িত বালা রঘুনাথের সুখজনক শীতল কর ম্পর্শে তৎক্ষণাং বানর-দেহ পরিত্য{{পুনক পরম ংসগণের দুল্ল ভ, ভ গুণগের অধগু.প্রাপ্য লেখ পরম পদ প্রাপ্ত হইলেন । দ্বিতীয় অধ্যায় সমাপ্ত ! তৃতীয় অধ্যায় । বানরেন্দ্র বালী পরমাত্ম শ্রীরামের হস্তে সমরে নিহত হইলে তাহার অনুচর বানরগণ সকলে ভয়াকুলিত চিত্তে কিষ্কিন্ধ্যায় পলায়ন করিয়া তারাকে কহিল ;–“হে মহাভাগে ! মহারাজ বালী রণক্ষেত্রে নিহত হইয়াছেন—আপনি এক্ষণে কুমার অঙ্গদকে রক্ষা করুন ও মন্ত্রিগণকে আদেশ করুন, অমর। চতুদ্বারের কপাট বন্ধ করিয়া এই নগরী রক্ষা করিব। হে ভাযিনি! অঙ্গদকে বানপ্পগণের প্লাজ! বলপূর্ব্বক রমণ করিতে ছ, এই হেতু ধর্ম্মশাস্ত্রানু- করুন।” এইরূপে তারা বালীর নিধনবার্ত্ত-শ্রবণে সারে তোমাকে নষ্ট করিলাম! তুমি বানর জাতি বলিয়া কিছুই জানন—মহদ্ব্যক্তিরা নিজপদসঞ্চারে জগৎ পবিত্র করিয়া সঞ্চরণ করেন ; অতএব তাহাদিগের কার্য্যে লিন্দা করিতে নাই।” বালী তাহ শুনিবাৰ্মাত্র ঐরামকে সনাতন বিষ্ণু জানিয়া অতি ভীত হইল ; অনস্তুর প্রণাম করিয়া পরমানলে ঐরামকে কহিল ;-“রাম। রাম। হে মহাভাগ। এক্ষণে আপনাকে পরমেশ্বর বলিয়া জানিলাম, শোকে মুচ্ছিত হইয়া বারংবার মস্তকে ও বক্ষঃ •স্থলে করাঘাত কারতে লাগিল । ‘অঙ্গদে-রাজ্যে— নগরে-বা ধনে আমার প্রয়োজন কি ? এক্ষণেই আমি পতির সহমৃতা হইব ; ” এই বলিয়া জালুলায়িতকেশ রোরুদ্যমান তার যথায় স্বামীদেহ নিপতিত ছিল, তথায় শোকাকুলাস্তঃকরণে সত্বর গমন করিল; এবং ধূলিধূসরিত ও শোণিত-সিক্ত বালীশরীর দর্শন করিয়া, “হ নাথ ! হ নাথ!" বলিয়া