পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&b. সেই লোকোপকারক স্থলভ উপায় আমাকে বলুন " শ্রীরাম কহিলেন—“হে রঘুনন্দন ! আমার পূজা-নিয়মের সীমা নাই; তথাপি সংক্ষেপে যথাযথ কিঞ্চিং নিয়ম বলিতেছি শ্রবণ কর—মনুষ্য নিজ নিজ গুহ * অনুসারে উপনীত হইয়া আমার প্রতি ভক্তিভাবে সদগুরু-সন্নি ধানে মন্ত্র গ্রহণ করিবে, অনস্তর সেই সুবুদ্ধি ব্যক্তি গুরুদর্শিত বিধানামুসারে আমারই আরাধনা করিবে । আলস্ত-শৃন্ত হইয়া নিজ মানসে, অগ্নিতে, প্রতিমাতে, ব্রাহ্মণে, স্বর্য্যমগুলে, কিংবা শালগ্রাম-শিলাতে আমার পূজা করিবে । প্রথমতঃ দেহ-শুদ্ধির নিমিত্ত বেদোক্ত বা পুরাণোক্ত মন্ত্রে মৃত্তিকালেপন প্রভৃতি বিধি অনুসারে প্রাতঃস্নান করিবে । পরে পণ্ডিত ব্যক্তি যথাবিধি সন্ধ্যোপাসনাদি নিত্য কার্য্য করবে, তদনন্তর, প্রথমে কর্ম্ম সিদ্ধির নিমিত্ত সংকল্প করিয়া আমার পুজা-পরায়ণ-ব্যক্তি আমা হইতে অভিন্ন বুদ্ধিতে নিজ গুরুর পূজা করিবে । শিলা-নির্ম্মিত মদীয়-প্রতিমাকে স্নান করাইবে, মৃণুয়াদি প্রতিমাকে মার্জন করিবে । গন্ধ পুষ্পাদি প্রসিদ্ধ উপচার দ্বারা ঐ প্রতিমাতে আমার পূজা,—সিদ্ধি দান করিয়া থাকে। দস্তাদিশূন্ত হইয়া সংযম পূর্ব্বক গুরূপ: দেশ-অনুসারে আমার পূজা করিবে । হে কুলননান ! প্রতিমা-প্রভৃতিতে পূজা করিতে হইলে পুষ্পাদি-উপচার আমার প্রিয় ; অগ্নি, স্বর্য্য ও স্থণ্ডিলে ঘৃতদ্বারা পূজা করিবে । তোমাকে অধিক কি বলিব ?—ভক্ত কর্তৃক শ্রদ্ধা পুর্ব্বক প্রদত্ত জলবিন্দুও আমার প্রীতিজনক হয়, ভক্ষ্য, ভোজ্য, গন্ধ, পুষ্প, অক্ষত, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য প্রভৃতি উপচার যে প্রীতিজনক হয়, ইহা বলা বাহুল্য। পূজক, প্রথমতঃ সমস্ত পূজার দ্রব্য সংগ্রহ কৱিবে, তদনন্তর কুশাসনোপরি অজিনাসন, তদুপরি কম্বলাসন আস্তৃত করিয়া দেবতা-সম্মুখে বিশুদ্ধ-চিত্তে তদুপরি উপবেশনপূর্বক মাতৃকান্তাস ও অন্তমাতৃকান্সাস কেশবাদি চতুর্ব্বিংশতি নামম্বারা তত্ত্বস্তাস, বিষ্ণুপঞ্জর ন্যাস ও মন্ত্র ন্যাস করিবে । নিরালহু হইয়া প্রতিমাদিতেও নিত্য এই সকল স্বাস করিবে । পুজক ব্যক্তি স্বকীয় বামভাগে জলপূর্ণ একটী কলস এবং দক্ষিণ ভাগে পুপাদি ও অৰ্ঘ্য-পাত্র, পাদ্য-পাত্র, মধুপৰ্ক-পাত্র এবং আচ. মনীয়-পাত্র—এই চারিট পাত্র রক্ষা করিবে এবং নিজ স্বর্য্য-প্রভ মটীয় অংশ জীবকে হৃদয় পরে † • ४शशिंक- बिच्ा रूई-विकाब्रक ঋধিকৃপ্ত-উপদেশগ্রন্থ-বিশেষের নাম গৃহ । , - অধ্যাত্ম-রামায়ণ । ভাবনা করিবে ; হে শত্রুদমন : পূজক ব্যক্তি, নিজ দেহকে তার ব্যাপ্ত বলিয়া ভাবিবে, সেই মদীয় অংশকেই প্রতিমাদিতে লাবাহন করিবে। অনন্তর দস্তাদিশৃঙ্গ হইয়া পাদ্য, অর্ঘ্য, আচমনীয়, স্থানীয়, বস্তু, অলঙ্কার প্রভৃতি যথা-শক্তি উপচার দ্বারা আমার পূজা করিবে ; পুজক বিভবশালী হইলে কপুর, কুঙ্কুম, অগুরু, চন্দন এবং শুভ সুগন্ধি-পুষ্প, ধুপ, দীপ, বিধিধ নৈবেদ্য ও পঞ্চবিধ নীরাজনাদি দ্বারা নিত্য মন্ত্রোচ্চারণ পুর্ব্বক আমার পূজা করিবে এবং অগস্ত্য সংহিতা মতে দশটী আবরণ দেবতারও পুজা করিতে হইবে । পুজক ব্যক্তি ঐ সকল উপচার শ্রদ্ধাপুর্ব্বক আমাকে নিত্য প্রদান করিবে ! আমি শ্রদ্ধাভোজী ঈশ্বর, মন্ত্রজ্ঞ পুজক যত্বপূর্ব্বক যথাবিধি হোম করিবে । অতীব আগমজ্ঞ পণ্ডিত পূজক, অগস্ত্যসংহিতামতে হোমকুণ্ড নির্ম্মাণ করিবে । অনস্তর, আমার মূলমন্ত্র দ্বারা অথবা পুরুষস্থত্ত দ্বারা হোম করিবে, সাগ্নিক দ্বিজ, নিজ ঔপাসন অগ্নিতে ঘৃতরূপ চকুদ্বারা হোম করিবে, পণ্ডিত ব্যক্তি হোমকালে অনল মধ্যে আমার সস্তপ্ত সুবর্ণ সদৃশ সমুজ্জ্বল এবং সর্ব্বালঙ্গারভুষিত রূপ চিন্তা করিবে—মনস্তর মদীয় পার্ষদবগকে বলি প্রদান করিয়া হোম সমাপ্ত করিবে । অনন্তর, পূজক ব্যক্তি বাক্য সংযমপুর্ব্বক আমাকে চিন্তা করত মদীয় মন্ত্র জপ করিবে, তদনন্তর কপু - রাদি মিশ্রিত তাম্বুল আমাকে প্রদান করিয়া প্রীতমনে আমার প্রীতির জন্ত নৃত্য, গীত ও স্তব পাঠাদি করিবে, অনস্তর আমাকে হৃদয়ে ভাবনা করত ভুমিতলে সাষ্টাঙ্গে প্রণামপুর্ব্বক আমার প্রসাদ-পুষ্পাদি আমার কর্তৃক অর্পিত ভাবনা করিয়া মস্তকে ধারণ করিবে। অনস্তর “ইষ্টদেবের চরণযুগল নিজ পাণিযুগলদ্বারা গ্রহণ করিয়া মস্তকে ধারণ করিলাম”, ভক্তিপূর্ব্বক ইহা ভাবন করত পরম জ্ঞানী পুজক, “হে ভগবন্‌ ! আমাকে ঘোর সংসার হইতে পরি. ত্রাণ করুন”—এই বলিয়া প্রণাম করিবে, পরে জীব হইতে আবাহিত মদীয় অংশকে বিসর্জন করিবে অর্থাৎ ঐ জীবেতে প্রবিষ্ট ভাবনা করিবে । আমার ভক্ত যদি উক্তপ্রকারে যথাবিধি পূজা করে, তাহ হইলে সে ব্যক্তি আমার অনুগ্রহে ঐহিক ও পারলৌকিক সিদ্ধি লাভ করে, যদি আমার ভক্ত প্রতিদিন উক্ত নিয়মে আমার পূজা করে, তাহা হইলে নিশ্চয় আমার সারূপ্য প্রাপ্ত হয়। সাক্ষাৎ আমারই কথিত এই পরম পাবন সনাতন রহম্ভ— যে ব্যক্তি নিযুত পাঠ বা শ্রবণ করে, সে সকল }