পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳԵր কর; অব্যয় নারায়ণ ত্রেতাযুগে দশরথ-তনয়-রূপে অবতীর্ণ হুইয়া রাবণ বধার্থে ভার্য্যা সীতা ও অনুজ লক্ষ্মণের সহিত দণ্ডকারণ্যে আগমন করিবেন। সেই অরণ্যাশ্রমে রাম লক্ষ্মণের অনুপস্থিত কালে রাবণ, জনকনন্দিনীকে চোরের স্থায় হরণ করিয়া লঙ্কাতে স্থাপন করিলে । বানরগণ সুগ্রীবের আদেশ মত সেই সীতার অনুসন্ধান করিতে সমুদ্রতীরে আগমন করিবে । সেইখানে কারণ বশে তোমার সহিত তাহাদিগের দেখা সাক্ষাৎ হইবে ; সংশয় নাই। তখন তুমি তাহাদিগকে যথার্থরূপে সীতার সন্ধান বলিয়া দিও। তখনই তোমার নূতন পক্ষদ্বয় উৎপন্ন হইবে।” সম্পাতি বলিল, চন্দ্র নামে মুনিকুল-শ্রেষ্ঠ, আমাকে অনেক বুঝাইলেন। দেখ আমার অতি কোমল নুতন পক্ষদ্বয় উৎপন্ন। হইল। তোমাদিগের মঙ্গল হউক, আম চলিলাম। সীতাকে নিশ্চয় লুধিতে পাইবে; দুস্তর সাগর নবতি-যোজন লজনে সামর্থ্য জানাইল এবং বলিল লঙ্ঘন করিতে যত্ন কর । “নিকৃষ্ট ব্যক্তিও র্যাহার নাম স্মরণ মাত্রে অনন্ত সংসার-সমুদ্র পার হইয় বিষ্ণুর শাশ্বত পরম পদ প্রাপ্ত হয় ; বানরগণ । তোমরা ত্রিভুবনের স্থষ্টি স্থিতি-সংহার-কারী সেই রামচন্দ্রের প্রিয় ভক্ত ; এই শত যোজনমাত্র বিস্তীর্ণ সামান্য সমুদ্র লঙ্ঘন করিতে পারবে না কি ? কেন পরিবে না ? অষ্টম অধ্যায় সমাপ্ত । নবম অধ্যায় । গৃধ্রুরাজ, আকাশ-পথে গমন করিলে,সীতাদর্শনে একান্ত অভিলাষী বানরশ্রেষ্ঠগণ অতীব আনন্দিত হইয়া পরস্পরের নিকট সেই আনন্দ প্রকাশ করিতে লাগিল। অনন্তর নক্রফুলভীষণ, বৃহৎক্ষুদ্র-তরঙ্গমালা সম্বুল, আকাশের ন্যায় দুরবগাহ জলনিধি অব লোকন করিয়া বিষণ্নভাবে পরস্পর বলিতে লাগিল ইহা পার হইব কিরূপে " | তন্মধ্যে অঙ্গদ, বলিল ;–বানর শ্রেষ্ঠগণ! শ্রবণ কর। তোমরা অত্যন্ত বলশালী, শ্বর এবং নানা স্থানে বিক্রম প্রকাশ করিয়াছ ; ইহার মধ্যে সমুদ্র লঙ্ঘন করিয়া রাজকার্য্য করিতে পারবে কে ? যে পরিবে সে এই সমস্ত বানরমণ্ডলীর প্রাণদাতা;—ইহাতে সংশয় নাই; অতএব ििन মহাবল, তিনি শীঘ্র আমার সম্মুখে উখিত হউন; তিনি সমস্ত বানরগণের শুদ্ধ বানরগণের কেন, রাম এবং সুগ্রীবেরও অধ্যাত্ম-রামায়ণ । রক্ষাকর্ত্ত হউন " যুবরাজ এই কথা বলিলেও সকল বানর সৈন্তগণ চুপ করিয়া রহিল। পরস্পর পরম্পরের প্রতি দৃষ্টিপাত করিতে লাগিল; কেহ কিছু বলিল না । অঙ্গদ বলিল, কার্য্যসিদ্ধির জন্য তোমরা সকলেই প্রত্যেকে আপন আপন বল বর্ণন কর। তাহার পর বুঝিব, কাহার দ্বারা কার্য্যসিদ্ধ হইবে । অঙ্গদের বাক্য শুনিয়া বীরগণ পৃথকৃ পৃথকৃ নিজ নিজ বলের কথা উল্লেখ করিতে লাগিল। দশযোজন হইতে অরম্ভ করিয়া ক্রমে দশ দশযোজন অধিক হিসাবে লজন-সামর্থ্য জানাইল । অর্থাৎ যাহার বল সর্ব্বপেক্ষামূ্যন, সে দশযোজন লজন করিতে পারে বলিল, যে তদপেক্ষ শ্রেষ্ঠ, সে বিংশতি যোজন, তদপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ত্রিংশং যোজন ; এইরূপ নিজ নিজ সামর্থ্য জানাইল ; এইরূপ ক্রমানুসারে উঠিতে উঠিতে অরণ্য-চারদিগের মধ্যে জাম্ববান, পূর্ব্বকালে ভগবান্‌ নারায়ণ ত্রিবিক্রম হইলে (বামনবতারে বিরাট মুক্তি ধরিয়া চরণ দ্বারা ভুবনমণ্ডল অধিকার করিবার সময় ) তাহার যে চরণ পৃথিবী ব্যাপক হইয়াছিল, একবিংশতি বার তাহ প্রদক্ষিণ করিয়াছিলাম। অধুনাবৃদ্ধ হইয়াছি, আর অধিক লজন করিতে পারি না। অঙ্গদও বলিল; সমুদ্রপারে গমন করিতে আমার সামর্থ্য আছে বটে ; কিন্তু পুনর্ব্বার লঙ্ঘন করিয়া আসিবার শক্তি আছে কি না বুলিতে পারিতেছি না। বীর জম্ববান্‌ ৰ্তাহাকে বলিল ;– “তুমি রাজা, অতএব তুমি আমাদিগকে কার্য্যে নিযুক্ত করিবে ; সুতরাং তুমি যদিও সমুদ্র লঙ্ঘনে সমর্থ; তথাপি তোমাকে কার্য্যে নিযুক্ত করা আমাদিগের উচিত হয় না। অঙ্গদ বলিল ;–যদি এইরূপ হইল, তবে আমরা সকলে পুর্ব্ববৎ কুশাসনে শয়ন করি ( প্রায়োপবেশন করি ) যখন কেহ কার্য্য সাধন করিতে পারিল না ; তখন জীবন ত থাকিবেই না। বীর জাম্ববানু তাহাকে কহিল ;–“বৎস! (চিন্তিত হইও না ) যাহার দ্বারা অবিলম্বে আমাদিগের কার্য্য সিদ্ধি হইবে, এমন ব্যক্তি তোমাকে দেখাইতেছি। জাম্ববান এই বলিয়া (একপার্শ্বে অব. স্থিত হনুমানকে বলিল হেমুমন্‌! এতবড় গুরুতর কার্য্য উপস্থিত হইয়াছে, তুমি কিনা অনভিজ্ঞের স্থায় নির্জনে চুপ করিয়া রহিয়াছ ! হে মহাবল। আজ নিজ সামর্থ প্রদর্শন কর। তুমি সাক্ষাৎ বায়ুর পুঞ্জ, তোমার পরাক্রম বায়ুর সমান, রাম কার্ঘ্যের পূর্ব্বে তুমি জন্ধিব মাত্র অচিরোদিত হুর্য্যকে, পঙ্ক