পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

レペ নন্দিনীকে দেখিয়া আমি কৃতার্থ হইলাম ; পরমাত্মা রামের কার্য্য আমার দ্বারাই সাধিত হইল ”। অন স্তর অন্তঃপুরের বহির্ভাগে কিল-কিলা শব্দ ( গোল মাল ) হইতে লাগিল ; পবননন্দন বৃক্ষ-পত্রে লীন হুইয়াই 'একি আবার ?” এই ভাবিতেছিল ; ইত্যবসরে দশ-মুখ বিংশতি-হস্ত সুনীল-অঞ্জন-রশি-তুল্য বাণ রমণীগণে পরিবৃত হইয়া আগমন করিতেছে, দেখিয়া সবিস্ময়ে পত্র-পুঞ্জের মধ্যে সম্পূর্ণ ভাবে বিলীন হইল। “রামের হস্তে আমার মৃত্যু হইবে কি রূপে ? এমন কি কারণ উপস্থিত হইতে পারে যে, রামচন্দ্র সীতার জন্তুও আসিতেছেন না” রাবণ অনসরত এইরূপ চিস্ত করত সর্ব্বদা রামচন্দ্রকেই হৃদয়ে ধ্যান করিতেছিল ; সেই দিন শেষ রাত্রে রামচন্দ্র রাক্ষসরাজ রাবণকে স্বপ্নে আদেশ করেন—“কোন এক কামরূপী বানর আসিয়া সূক্ষরূপে বৃক্ষাগ্রে অবস্থিতি করত সীতাকে দেখিতেছে।” রাবণ এই অদ্ভুত স্বপ্ন দর্শন করিয়া মনে মনে বিবেচনা করিল ; কেখন কখন স্বপ্নও সত্য হয় ; অতএব এক্ষণে এই করা যাউক—জানকীকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করিয়া নিরতিশয় দুঃখিত করি ; যদি আসিয়া থাকে ত বানর তাহা দেখিয়া গিয়া রাম সন্নিধানে নিবেদন করুকৃ ;" এইরূপ চিন্তা করত সত্বর সীতা সমীপে গমন করিল ; সুমধ্যম-রমণী সীতা নূপুরধ্বনি এবং কিঙ্কিণ ধ্বনি শ্রবণ করিয়া ( সস্ত্রীক রাবণ আসিতেছে বুঝিয়া) ভূয়ে যেন নিজ শরীরেই বিলীন হইয়া রহিলেন ( জড় সড় হইলেন ) ; ও অধোমুখী হইলেন ; নয়ন হইতে দ্বিগুণিত বেগে অশ্রুধারা পড়িতে লাগিল ; তাহার মন রামচন্দ্রেই সন্নিবেশি ও রহিল। তখন রাবণও সীতাকে অবলোকন করিয়া বলিল, হে মুমধ্যমে ! হে হুঙ্ক! আমাকে দেখিয়া কেন মিছা জড় সড় হইতেছ? রামচন্দ্র অনুজের সহিত বনচর মধ্যে অবস্থিতি করে ; তাহাকে কেহ কেহ কখন দেখিতে পায় কখন বা দেখিতেই পায় না (২৩) তাহাকে দেখিবার জন্য অনেক বার আমি চর পাঠাইয়াছি, কিন্তু তাহার যত্বপূর্বক চারিদিক নিরীক্ষণ করিয়াও তাহাকে দেখিতে পায় নাই (২৪)। রাম তোমার উপর সর্ব্বদা বিতৃষ্ণ ; তাহাকে লইয়া তুমি কি করিবে ? তুমি সর্ব্বদাই তাহাকে আলিঙ্গন করিয়া থাকিতে ; লেও সর্ব্বদা তোমার সমীপে থাকিত ; তথাপি এই রামের হয়ে তোমার প্রতি কিছুমাত্র গ্রেহ সঞ্চার হয় নাই; রাখব, তোমার প্রসাদে সমস্ত ভোগ্য বস্তু ভোগ করিয়াছে; তোমার বিবিধ গুণ তিনি নি গুণ অখ্যাত্ম-রামায়ণ । রাশির পরিচয় পাইয়াছি; কিন্তু সেই নিগুণ অধম, কৃতঘ্ন ( একবারও ) তাই স্মরণ করে না। তুমি সাধ্বী ; আমি তোমাকে হরণ করিয়া আনিয়াছি বলিয়া তুমি শোক দুঃখে আকুল হইয়া রহিয়াছ ; কিন্তু সে অদ্যাপি আসিল না ; তোমার উপর যখন তাহার শ্রদ্ধা নাই, তখন সে আসিবে কেন ? সে, বলহীন, মমতা-শুন্য, বৃথামানী এবং মুঢ় ; সে আপনাকে আপনি পণ্ডিত বলিয়। মনে করে । ২৫—২৮ ! হে কোপনে ! তোমার প্রতি বিমুখ সেই নরাধমকে লইয়া কি করিবে ? (ক) * আমি তোমাতে অতীব আসক্ত এবং আমি দেব-রিপুগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ; আমাকে ভজনা কর । আমাকে ভজনা কর ত দেব, গন্ধর্ব্ব, নাগ, যক্ষ এবং কিন্নরগণের কামিনীরা তোমার আদেশ প্রতিপালন

  • ২৩ শ্লোক হইতে ( ক ) চিহ্নিত শ্লোকা পর্যন্ত রাবণ, রামচন্দ্রের বিষয়ে যে যে কথা বলিয়াছে, তাহার কাব্যোপযোগী অর্থ মূলে নিবেশিত হইয়াছে ; আর যে অর্থ রাবণের মনোগল্প, তাহ! এস্থলে উল্লিখিত হইল ।

বনবাসী মিলিপ্তযোগিগণ পরমাত্মাকে বিষ্ণুরূপে বা অনন্ত রুপে ধ্যান করেন । সেই যোগীদিগের মধ্যে কেহ কেছ কখন কখন তাহাকে দেখিতে পান, কখন বা পান না। ২৩ । আমি তাহাকে জানিবার জন্য চক্ষু, কর্ণ, নাসিক, জিহ্বা, ত্বক্ এবং মন এই সকল ইন্দ্রিয়কে বারবার নিযুক্ত করিয়াছিলাম, কিন্তু তাহার। ওঁাহাকে জানিতে সবিশেষ চেষ্টা করিয়া ও কৃতকার্য্য হয় নাই। ২৪ । তিনি নিগুণ এবং সদা পরিতৃপ্ত, তাহার কোন বিষয়েই ইচ্ছা নাই, তোমাতেও ইচ্ছা নাই। তুমি প্রকৃতি ; তাহাক্ষে অপ্রিয় করিয়া আছে ; তিনি সর্ব্বব্যাপক সর্ব্বদ। সমীপে অবস্থিত । কেহই ডাহার দেবের বা প্রীতির পাত্র নহে, তাই তোমার উপর স্নেহ নাই । বিষয়ভোগ বা মুখ দুঃখাদি-ভোগ-প্রকৃতপক্ষে তাহার লছে— প্রকৃতির ; তিনি সাক্ষীস্বরূপে অবস্থিত । লোকে ভাবে তিনি ভোক্তা ; তিনি কিন্তু আপনাকে ভোক্ত বলিয়া জানেন না। তিনি কর্ম্ম-বন্ধন ছেদন করিয়া দেন । ७ष९ वांद्°षाउँौष्ठ । छूभि ७१भप्रैौ বলিয়া দুঃখশোকাদি সমস্ত—তোমারই ; তোমাকে ৰানিলাম ; তিনি কিন্তু আজিও আদিতেছেন না । (নিগুণদপে আসিবার সম্ভব নাই ; কেন না) যিনি সর্ব্বব্যাপক,তাহার গমন হইবে কিরূপে ? (সগুণরুপেও अॉनिद्दल *ीरघ्नम ना, काबू१ चांनिटबई) जामि छछिহীন, সত্বগুণবর্জিত, ক্ষমতাসম্পন্ন, অভিমানী, মুড় এবং পণ্ডিত-মানী ; আমি ভাস্কাকে পাইৰ। ভাহা কিন্তু अनञ्चब ।। २९-९* । ब्रांभ मद्वद्वांख्य 4ष९ बांग्नांडी छ । (क)